বৃহস্পতিবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তিতাসে যুবলীগ নেতা হত্যার জেরে থামছে না ভাংচুর ও লুটপাট

তিতাস ( কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা জহির হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থামছে না ভাংচুর ও লুটপাট। হত্যাকান্ডের ৬-৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন মাঝে মাঝে রাতের আঁধারে ঘটে চলেছে ভাংচুরের ঘটনা। এ পর্যন্ত ৪টি প্রজেক্টের মাছে ধরে বিক্রি,  প্রায় ২৭ টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে। ৪৫ টি পরিবার এলাকা ছাড়া। তারা এখন ইদ করতে আসতেও ভয় পাচ্ছে। ইদকে ঘিরে যে কোন সময় ঘটতে পারে নানা অঘটন। 

হত্যাকান্ডের পর মানিককান্দি গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে ও দুলারামপুর বাজারের  কয়েকটি দোকানে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।  থেমে থেমে ও বিচ্ছিন্নভাবে এখনও হচ্ছে ভাংচুর ও লুটপাট। গত শনিবার তিতাস উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আনোয়ারের বাড়িতে গ্রীল কেটে এসি, টিভিসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় তিতাস থানা পুলিশ ইয়াছিন নামে একজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। 

এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষের মোয়াজ্জেম হোসেন আনোয়ার বলেন,  কে বা কারা ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে আমরা জানি না। কারণ আমরা এলাকায় থাকি না। জহির হত্যার বিচার আমিও চাই। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার হোক। কিন্তু ঢালাওভাবে ভাংচুর, লুটপাট গ্রহণযোগ্য নয়।

এ সময় উপস্থিত আশপাশের বাড়ির  কয়েকজন নারী সাংবাদিকদের দেখে খুব আগ্রহী হয়ে বলেন, আমরা দীর্ঘ ৬-৭ মাস যাবত এলাকা ছাড়া।  কয়েকদিন পর কুরবানির ইদ কিন্তু নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে থাকতে পারছি না। কত দিন পালিয়ে বেড়াবো? এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়?  

এছাড়াও জহির হত্যা মামলার আসামি মোকারমদের ৫ টি ঘর,  মোহন ভূইয়ার ৩ টি ঘরে ব্যপক ভাংচুরসহ লতিফ,

কামাল ভূইয়া, শফি ভূইয়া, ডালিম ভূইয়া, মোহন ভূইয়া

মুর্শিদ, হবি মাস্টার, প্রফেসর নজরুল ইসলাম, মোজাম্মেল,  হালিম, সাহেব আলী,  জলিল, মুসা মেম্বার, তাহের আলী, সাইফুল মেম্বার, সালামত ও আলালসহ আরও অনেকের বাড়ি ঘর দূর্বৃত্তরা ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

যুবলীগ নেতা জহির হত্যা মামলার বাদী এসহাক মোল্লা জুয়েল বলেন, লুটপাট ও ভাংচুরের সাথে আমরা কেউ জড়িত নই। তারা নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ঘর ভেঙ্গেচুরে  

আমার ভাইকে হত্যা করে উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। কে বা কারা ভাংচুর করেছে আমরা জানিনা।

তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ঐ এলাকায় আমরা কিছুদিন পুলিশ ক্যাম্প বসিয়ে রেখেছিলাম। প্রতিদিনই টহল পুলিশ টহল দিচ্ছে। বিচ্ছিন্নভাবে হয়ত কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আর যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর বিকালে জমির মালিকানা নিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষ কুপিয়ে হত্যা করে যুবলীগ নেতা জহিরকে। 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ