নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ৫২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ওষুধ, বস্ত্র ও প্রকৗশল খাতে। এদিন ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে ছিল ওষুধ খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ১ শতাংশ দখলে ছিল বস্ত্র খাতের। ১১ দশমিক ৮ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। ডিএসইর খাতভিত্তিক লেনদেন চিত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার ডিএসইর সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৮৬ কোটি টাকা, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৯১১ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৯০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৯৬টির, কমেছে ১৫৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স রোববার ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৯৭ পয়েন্টে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৬৬১ পয়েন্ট। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল দিন শেষে দশমিক ১১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে ছিল ২ হাজার ১৫ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
রোববার সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, কোহিনূর কেমিক্যালস ও বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ারের। গতকাল ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্নের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল জীবন বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সেবা খাত। খাত তিনটিতে রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৬, ৩ দশমিক ৭ ও ২ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নের শীর্ষে ছিল পাট, মিউচুয়াল ফান্ড ও কাগজ খাত। এ তিন খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ১ দশমিক ৬, ১ দশমিক ৪ ও দশমিক ৫ শতাংশ।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স রোববার ৬২ পয়েন্ট বেড়ে ৯ হাজার ৮৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ৩৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৩২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ১০১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ১৬ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫৮ কোটি টাকা।