
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক মো. আ. মজিদ খাঁন (৬২) তাঁর নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বোচাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একদল দুষ্কৃতকারী তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
অভিযোগকারীর ভাষ্যমতে, তিনি দৈনিক যায়যায়কালের জেলা সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, মীরা কাশমেরী (৪০), মোঃ আঃ আলিম (৪৫), মোঃ লাইছুর রহমান (৫২), মোঃ আব্দুল মালেক চৌধুরী (৫৫), মোছাঃ আশা আক্তার (২৬), মোছাঃ লিপি আক্তার (৪০) এবং মোঃ রাসেল খাঁন (২১) সহ অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জন ব্যক্তি সংঘবদ্ধভাবে মাদক ব্যবসা, চোরাচালান, শিশু পাচার, দেহ ব্যবসা, অর্থ আত্মসাৎসহ নানাবিধ অপরাধে জড়িত।
অভিযোগ অনুযায়ী, ১নং বিবাদী মীরা কাশমেরী স্থানীয় কিশোরী ও অর্ধ-বয়স্ক নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া ৫নং বিবাদী আশা আক্তার, যিনি অভিযোগকারীর তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন, তাঁর স্বামীর কাছ থেকে প্রায় ১৬,৯২,২০০/- টাকা নিয়ে তিন সন্তানকে ফেলে পালিয়ে গেছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, এই চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা (মামলা নং ৪/২৩, ১২৯/২৩, ৯০১/২৪, ২৫৪/২৪, ২৪৩/২৪) চলমান এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। তবে অভিযুক্তরা জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও অভিযোগকারীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে এবং মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে।
মো. আ. মজিদ খাঁন বলেন, “আমি স্থানীয়ভাবে অভিযোগ জানিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। এখন আমি নিজের জীবন ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।”
তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ১নং বিবাদী মীরা কাশমেরী এবং তার সহযোগীরা দেহ ব্যবসা, মাদক ব্যবসা ও সামাজিক অবক্ষয়ের সাথে জড়িত। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ, বোচাগঞ্জ থানা, উপজেলা পরিষদ, রংপুর বিভাগীয় রেঞ্জ ডিআইজি, রংপুর , জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, দিনাজপুর , জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, দিনাজপুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, বোচাগঞ্জ , দিনাজপুর কমান্ডার সেনা ক্যাম্প ২৮, দিনাজপুর, সভাপতি সম্পাদক, নিমতলা প্রেসক্লাব, দিনাজপুর , সাংবাদিক ইউনিয়ন রেজিঃ ২৯৩৬, স্টেশন রোড,দিনাজপুর অবগত।