বুধবার, ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পাঠক নেই পুঠিয়া পাঠাগারে

শাহ্ সোহানুর রহমান, রাজশাহী : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার একমাত্র সাধারণ পাঠাগারটি দিনদিন পাঠক শুন্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার সব স্থানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও উপজেলা সাধারণ পাঠাগার এখন পর্যন্ত কোন কিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। বই পড়ার টেবিল নষ্ট, কোথাও বা উপরের সিলিং ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম, নতুন করে কোন বইও এ পাঠাগার যোগ হয়নি। এর কারণে ও পাঠক সংখ্যা কমতে পারে বলে মনে করে অনেকেই।

সাধারণ পাঠকদের অভিযোগ সর্বত্র প্রতিনিয়ত পরির্বতনে ছোঁয়া লাগলেও এই পাঠাগারটি অযত্নে- অবহেলায় ক্রমেই জরাজীন্ন হয়ে পরেছে। তারা দাবী করছেন আধুনিক মানের প্রযুক্তিযুক্ত পাঠাগার গড়ে তুলতে পারলে এখানে আবারো পুরোনদের পাশাপাশি অনেক তরুণ প্রজন্মের পাঠকও আসবেন।

উপজেলা পরিষদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন বই পড়ার আগ্রহ থাকায় পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে সরকারি বাসভবনের সাথে ছোট ছোট চার কক্ষে নব্বই দর্শকে সাধারণ পাঠাগারটি চালু করা হয়। পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রকার উন্নত মানের বই পাঠকদের পড়ার জন্য রাখা হয়। পাঠকরা যেনো পাঠাগারে এসে নিয়মিত পড়াশুনা করতে পারেন । সেই জন্য প্রতিদিন বিকেলে চার টা থেকে রাত আট টা পর্যন্ত খোলা থেকে। পাঠাগার দেখা শুনার জন্য সব সময় একজন ইনচার্য রাখা হয়েছে।

বর্তমানে নিয়মিত পাঠক মনিরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ পাঠাগারে দিনদিন সাধারণ মানুষের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ অনেক কমে যাচ্ছে। হাতের নাগালে তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে বর্তমান প্রজন্মের যুবকদের মাঝে পাঠাগারে যাতায়াতের কোনো আগ্রহ নেই। যার কারণে এক সময়কার পাঠক পরিপূর্ণ পাঠাগারটি দিনে দিনে পাঠক শূন্য হয়ে যাচ্ছে।

পাঠাগারটিতে এক সময় দৈনিক পত্র-পত্রিকার পাঠকই ছিলেন প্রায় অর্ধশতাধিক। এছাড়া বিভিন্ন বই পড়ার জন্যও অনেক পাঠক এখানে ভীড় জমাতো। সব সময় পাঠকে পরিপূর্ণ থাকতো সাধারণ পাঠাগার। দিনদিন পাঠকের সাথে পাল্লা দিয়ে পাঠাগার থেকে বিভিন্ন মূল্যবান বই গুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বইয়ের পাশাপাশি আধুনিক মানের প্রযুক্তি নির্ভর পাঠাগারটি গড়ে তোলা হলে এখানে আবারো পাঠক সংখ্যা বাড়বে।

সাধারণ পাঠাগারের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জানান, গত কয়েক বছর আগে স্থানীয়দের পাশাপাশি দুর-দুরান্ত থেকে অনেক পাঠক এখানে আসলেও বর্তমানে তা অনেক কমে গেছে। প্রতিদিন যথা সময়ে পাঠাগার খোলা থাকলেও এখন হাতে গোনা মাত্র দু’তিন জন পাঠক নিয়মিত আসেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, উপজেলা সাধারণ পাঠাগারে আমি অনেকবার গিয়েছিলাম। বই গুলা পুরানো এবং আসবাবপত্রগুলো নষ্ট হয়েছে এটা সত্য।


তবে সাধারণ পাঠাগার ভিতরে হওয়ার কারণে বইপ্রেম মানুষের কাছে পরিচিতি অনেক কম। তবে আমি উপজেলা সাধারণ পাঠাগারটিকে আরও সামনে দিকে বড় ঘর করার ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবো। তারপরে নতুন বই ও আসবাবপত্র গুলো নতুন করা হবে। তবে এটাকে আধুনিক মানের পাঠাগার হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় রয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ