শনিবার, ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৮শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পাবনায় নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক আহত

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়ার কাশিনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনকে মারধোর ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের অফিসকক্ষে সভাপতি আব্দুল বাতেন মিয়ার সামনেই ন্যক্কারজনক এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চোখে প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি।
প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন সাঁথিয়া থানায় ওইদিন সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশের কোনরূপ সহযোগিতা না পেলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান আহত প্রধান শিক্ষক।
প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন জানান, কাশিনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব পদে লোক নিয়োগকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে অফিসকক্ষে আলোচনায় বসেন সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যগণ।
এ সময় সদস্য রাশেদ তার নিজের লোককে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের জন্য পাবনা ডিজির প্রতিনিধির নিকট যেতে বলেন।
সভাপতির সাথে কথা হয়েছে মর্মে বৃহস্পতিবারে যাওয়ার কথা বলেন প্রধান শিক্ষক। রেজুলেশন লিখে রেডি করে তারপর যাওয়ার কথা জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে রাশেদ প্রদান শিক্ষকের চোখে প্রচন্ড জোরে ঘুষি মারে।
এতে তিনি অজ্ঞান অবস্থায় চেয়ারের উপর পড়ে যান। পরে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন,এর আগে আমাকে একটি অনৈতিক প্রস্তাব দেয় সদস্য রাশেদ। তারা প্রার্থীর নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থের লেনদেন করে যা আমাকেও ভাগ নিতে বলে।
এতে আমি অস্বীকার করলে পরে একজনের মাধ্যম দিয়ে আমাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। আমি এতেও অস্বীকার জানালে সে সভাপতির সামনেই আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালাগাল করে।
আমি এর প্রতিবাদ করে সভাপতির নিকট উপস্থাপন করতেই আমার চোখের উপর ঘুষি মারলো। তিনি বলেন, আমি চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সাঁথিয়া থানায় এসে অভিযোগ দিলে ওসি বলেন, আমি দেখতেছি, আপনি যান। আমি এর বিচার চাই। প্রয়োজনে আমি আগামীকাল আদালতের শরনাপন্ন হব।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সদস্য রাশেদ এর সঙ্গে কথা হলে মারধোরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গা ট্রাস্টের নামে থেকে বিদ্যালয়ের নামে করার জন্য একটা প্রতিবেদন চান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কাউকে না জানিয়ে একতরফাভাবে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, এ জন্য একটু কথাকাটাটি হয়েছে মাত্র।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল বাতেন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখেন।
এ ব্যাপাারে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ রফিকুল ইসলামের অফিসিয়াল নম্বরে বেশ কয়েকবার ফোন করে তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *