মঙ্গলবার, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সংগঠিত করতে পেরেছিলেন: গণপূর্তমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যারা ভাবতো বাঙালিকে একসঙ্গে সংগঠিত করা যায় না তাদের জন্য সবচেয়ে বড় উত্তর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সংগঠিত করতে পেরেছিলেন। সেখানে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটি তার সবচেয়ে বড় অবদান। কাজটি মোটেও সহজ ছিল না।

গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে রোববার বিকালে ‘শিশু-কিশোরদের ভাবনায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক।

বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসবে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের নানা ইতিহাস শুনে অনেক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোর।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশের জনগণকে দাবিয়ে রাখতে তার ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য মুছে ফেলতে চেষ্টা করা হয়। পাকিস্তানিরা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক দিক থেকে দমনের চেষ্টা চালায়।এর বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল প্রধান। ন্যায্যতার প্রশ্নে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ সচেষ্ট ছিল সবসময়। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধকালীন তার অভিজ্ঞতা শিশু-কিশোরদের সামনে তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫-এর পর আমরা যারা বেড়ে উঠেছি তখন বাংলাদেশে সবচেয়ে অন্ধকার সময়। আমার বাবা কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমকে পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর হত্যা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আমার বাবার নাম উচ্চারণ করতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামও বলতে পারতাম না। জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় আসে সেই সময়ে বঙ্গবন্ধুর ছবির ওপর কালো দাগ দিয়ে দিত।

সভাপতির বক্তব্যে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নানা অবদানের কথা তুলে ধরেন শিশুদের কাছে। পরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *