শনিবার, ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

বাঁশবাড়ীয়া ফেরীঘাট পরিদর্শন করলেন জেলা জামায়াতের আমীর

মো. রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নে নব নির্মিত ফেরীঘাট টানা দুদিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে সড়ক ধ্বসে গেছে। একইসাথে একটি ফেরী টাকবোর্ডও পানিতে ডুবে গেছে। এতে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের সাথে মূল ভূখন্ড চট্টগ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত সংস্কার করে যোগাযোগ চালু করা হবে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ, সড়ক, ফেরীঘাট পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর আলাউদ্দিন সিকদার।শনিবার সকালে তিনি বাঁশবাড়িয়া ফেরী ঘাটে পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তার সাথে জেলা জামায়াত, উপজেলা ও ইউনিয়ন জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তিনি পুরো ঘাট ঘুরে দেখেন। বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্ট ঘুরে দেখেন এবং নোট করেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরাও তাকে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা পরিদর্শনে এসে দেখেছি বাঁশবাড়িয়া ফেরী ঘাটের বেশকিছু পয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে রাস্তা দেবে গেছে। অনেক স্থানে মাটি সরে গিয়ে ইট, বালি ভেসে গেছে। আমরা দাবি জানাব, দ্রুত এসব সংস্কার করে এই ঈদের আগেই যোগাযোগ চালু করা হোক। মানুষ যেন নির্ভিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে। তাদের বাড়িতে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি সরকার যেন এখানে দ্রুত কোষ্টাল ফেরী নিয়ে আসে। একইসাথে সী ট্রাক দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই নিরাপদে মানুষ ওপারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। আলাউদ্দিন সিকদার আরো বলেন, লাল বোটে মানুষ পারাপাট বন্ধ করতে হবে। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এভাবেই আমাদের ১৮ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন সাগর পথে।আমাদের সরকারের কাছে আবেদন, ওপারে গুপ্তছড়া ঘাটেও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলোসহ বাঁশবাড়িয়া অংশের সংস্কার করে পুনরায় যেন মানুষ ফেরীর সুবিধা পাওয়া শুরু করে সেদিকে তড়িৎ ব্যবস্থা করতে হবে। সন্দ্বীপের মানুষ বহু বছর পর আশায় বুক বেঁধেছে। আর যেন তারা হতাশ না হন। আমাদের উপদেষ্টা ফাউজুল কবির খান অত্যন্ত আন্তরিক। আমি মনে করি এসব সমস্যা অচিরেই কেটে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরাও প্রয়োজনে পরামর্শ দিব কোথায় কিভাবে কাজ করলে সেটি টেকসই হবে এবং সুফল মিলবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশবাড়িয়া ফেরী ঘাটে সড়কের অনেক স্থানে মাটি সরে ব্লক মাটিতে ধ্বসে গেছে। একটি টাকবোর্ড পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। শ্রমিকরা সেখানে সংস্কার কাজ করছেন।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওয়েল কনস্ট্রাকশনের মালিক হামিদ হোসেন বলেন, আমরা সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুত ফেরী চলাচল শুরু করতে পারব। আপাতত বিআইডব্লিউটিএ ফেরী নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে। আমরা সড়কে মাটি, বালি পাইলিং করছি। যেখানে যেখানে এগুলে সরে গিয়েছে সেখানে আবারও বসিয়ে দিচ্ছি। তবে এখানে সমুদ্র বেশ উত্তাল হওয়ায় টিকে থাকা খুব কঠিন। এখানে সিসি ঢালাই সড়ক করতে হবে। তা না হলে টেকসই হবে না। আর টাগবোর্ড যেটি ডুবে গেছে সেটি তুলতে সময় লাগবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *