উত্তম দাস, খুলনা: বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি ১২টি এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং দুটি টার্মিনাল প্রকল্প সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এই পদক্ষেপ পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক ঝুঁকির প্রতি সচেতনতার ইঙ্গিত দেয়, পরিবেশবাদীরা বলছেন, এটি যথেষ্ট নয়।
ধ্রুব , ক্লিন এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সহ নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো সরকারকে প্রকল্পগুলো স্থায়ীভাবে বাতিল এবং নবায়নযোগ্য শক্তি-নির্ভর নীতি গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।
এলএনজি, একটি জীবাশ্ম জ্বালানি যা উল্লেখযোগ্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ঘটায়, বাংলাদেশের জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা এবং জ্বালানি নিরাপত্তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এলএনজি নির্ভরতা দেশের আর্থিক চাপ, পরিবেশগত ক্ষতি এবং অস্থিতিশীল শক্তি অবকাঠামো তৈরি করবে।
বাংলাদেশের শক্তির ভবিষ্যৎ এলএনজিতে নয়, বরং নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের দিকে- এ বিষয়ে ধ্রুবর নির্বাহি পরিচালক রেখা মারিয়া বৈরাগী বলেন, ‘সরকারকে এলএনজি প্রকল্প স্থায়ীভাবে বাতিল করে সোলার ও বায়ুশক্তির মতো পরিষ্কার এবং টেকসই প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে হবে। এটি শুধু পরিবেশ রক্ষাই নয়, বরং অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও নিশ্চিত করবে।’
ক্যাম্পেইনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই মুহূর্তটি বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ। এলএনজি প্রকল্প বাতিল করে সরকার পরিচ্ছন্ন শক্তি উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে পারে, যা আন্তর্জাতিক জলবায়ু চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়ক হবে।
ধ্রুব সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রেখা মারিয়া বৈরাগী আরো বলেন, সারা দেশের নাগরিকেরা এই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, তারা যেন জনগণের মঙ্গলকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি ছাড়া বিকল্প নেই।
ধ্রুব, ক্লিন এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর উদ্যোগে এই ক্যাম্পেইনটি দেশকে একটি সবুজ এবং টেকসই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
খুলনায় রূপসা নদীতে ব্যতিক্রমী ভাবে নৌকার উপরে প্রচার প্রচারাভিজান চালানো হয় এবং এখানে বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন তাছাড়া এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে অনেকে সাধুবাদ জানান।
এছাড়া অনেকেই এনজি ভিত্তিক জ্বালানি প্রকল্প গুলি স্থগিত করার জন্য আহ্বান জানান।