মো. আশিকুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কাছে হার মানলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে জুনায়েদ সরকার ফাহাদ (১৫)।
এর আগে পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিবেশি মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। এমন ঘটনায় এলাকায় বইছে শোকের ছায়া।
নিহত জুনায়েদ সরকার ফাহাদ ওরফে সিথিল উপজেলার দরিয়াদৌলত গ্রামের এস এম লিটু মিয়ার ছেলে। সে বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এমন নৃশংস হত্যার ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান দুঃখ প্রকাশ করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। শোকে বিহ্বল নিহতের বন্ধু, স্বজন ও এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুনায়েদের মামার বাড়ি উপজেলার মনাইখালী গ্রামে। সেখানে বেড়াতে গেলে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে তার মামার বাড়ির ৭ থেকে ৮ জনকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিবেশি মহিউদ্দিন ও তার স্বজনরা। এ সময় তাদের কুপিয়ে জখম করা হয় জুনায়েদকেও। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় জুনায়েদের।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত জুনায়েদের মামার একাধিক বিয়ে করা, মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিবেশি মহিউদ্দিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এরই জের ধরে, শুক্রবার মধ্যরাতে মহিউদ্দিন তার দলবল নিয়ে জুনায়েদের স্বজনদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে গুরুতর জখম হয় শহীদ শিকদার, রহমত মেম্বার, ময়না আক্তার, শফিকুল ইসলাম, হাসেম মিয়াসহ ৯ জন।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, মনাইখালীর ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে নিহতের মামা গণি মিয়া একটি মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।