
কাজী আল আমিন, বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের আবুল ফয়েজ এর ছেলে জীবন মিয়া (৩৬)।
তাকে বিদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে নিঃস্ব করে দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বাড়িউড়া গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে নুর আলম (৩২)।
নুর আলম দীর্ঘদিন যাবত সৌদি আরব অবস্থান কালে প্রতারণার মাধ্যমে অনেক লোককে সৌদি আরবে ভালো বেতন ও কাজের লোভ দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে বেওয়ারিশের মতো ছেড়ে দেয়।
গত গত ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ সরাইল থানায় দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভ্যানচালক জীবন মিয়াকে ভালো কোম্পানি, ১২০০ সৌদি রিয়াল ও দুই বছর পর পর রিটার্ন টিকেট থাকা খাওয়া ফ্রি বলে মিথ্যা আশ্বাসে তিন ধাপে নগদ ৪ লক্ষ ৪০ হাজার তার পরিবারের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করেন। অতিরিক্ত ৬০ হাজার টাকা বিভিন্ন বাহানায় খরচ করান। চলতি বছর ১৪ই এপ্রিল ভিসা দিয়ে সৌদি আরবে নিয়ে যান। সেখানে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বৈধ কাগজপত্র কোম্পানি খোজ মেলেনি, দালালের হাতে ধরিয়ে মানুষ বসবাসের অনুপযোগী সিমেন্টের গুদামে ১৫ থেকে ২০ জন লোক আটকে রেখে টাকার জন্য জিম্মি করা হয়। জীবন মিয়া উপায় না দেখে বাড়ি থেকে আরো এক লক্ষ টাকা নিয়ে প্রায় ৬ মাস আহার করেন। এদিকে প্রতারক নুর আলম এসব কথা কারো কাছে বললে কাগজপত্র না দেওয়ার ভয় দেখান। তারই প্রতারণা শিকার সেই সিমেন্টের গুদামে একাধিক ভুক্তভোগী রয়েছে বলে জানান। পরিশেষে পাঁচ মাসের মাথায় প্রতারক নুরআলম ভুক্তভোগীর অসহায়ত্বকে পুঁজি করে সৌদি আরবে অবৈধভাবে একটি কাজে ঢুকিয়ে দেশে চলে আসেন। পাঁচ দিনের মাথায় ভুক্তভোগীকে সৌদি আরব পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। প্রায় ১০ দিন জেল খাটার পর অসহায় জীবন মিয়া সর্বস্ব হারিয়ে খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে।
জীবন মিয়া জানান, এই প্রতারকের বিচার কে করবে? আমার মত আরো কয়েকজনকে ওর মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছে, তারাও ভিডিওতে কথা বলবে বলে জানান। এই প্রতারক আমার জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। আমার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়তার পরিচয়ে সম্পর্ক হয়। ১৫ অক্টোবর জেল থেকে দেশে আসার পর এলাকার চেয়ারম্যানকে জানালে তার অপকর্মের দায়িত্ব নিতে চান না বলে মানা করেন। আমি এই প্রতারকের বিচার দাবি করছি। আমার এখন কিছুই নাই। সব শেষ করে দিয়েছে।
অভিযুক্ত নুর আলম এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সরাইল থানার অভিযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই ফরিদুল রেজা জানান, অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেওয়া হবে।












