শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বেগম জিয়া স্বামী ভেবে কাকে শ্রদ্ধা জানান প্রশ্ন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, কথিত আছে যে রাজধানী ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানকে সমাহিত করা হয়েছে। কিন্তু তার মৃতদেহ কেউ দেখেনি। সেখানে জিয়া নাকি অন্য কোন মানুষ বা প্রাণিকে সমাহিত করা হয়েছে এ নিয়ে সবার মাঝে সংশয় রয়েছে। তাই বেগম জিয়ার কাছে আমার প্রশ্ন আপনি স্বামী ভেবে কাকে শ্রদ্ধা জানান? সেখানে কি জিয়ার মৃতদেহ রয়েছে নাকি অন্য কোন পরপুরুষের। এ বিষয়ে আশু বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত হওয়া জরুরি। বেগম খালেদা জিয়াকে এ তদন্ত কমিটির প্রধান করা যেতে পারে। আমরা এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবো।

প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ ও ডায়াবেটিক পরীক্ষা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এ প্রশ্ন রাখেন। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। প্রধান অতিথি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র তত্ত্বাবধানে জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জানতে পেরেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিন্তু তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কোন বাঙালি তাঁকে হত্যা করতে পারে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করা হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন যে কমিশন কাজ শুরু করলে জিয়াউর রহমান, আ স ম আবদুর রব, কর্ণেল তাহের, কবি আল মাহমুদ সহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ছিল বা এর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড পেয়েছি। স্বেচ্ছায় রক্তদানকে একটি মানবিক, আত্মত্যাগ ও সেবামূলক কাজ উল্লেখ করে সচিব বলেন, এর মাধ্যমে রক্ত দানকারীদের মধ্যে বৃহৎ আত্মত্যাগের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হবে এবং মানবিক মানুষ হিসাবে পথচলাকে সুগম করবে।

যায়যায়কাল/৩১আগস্ট২০২২/কেএম

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ