
খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ১নং নাফানগর ইউনিয়নের বড় সুলতানপুর গুচ্ছগ্রাম আবাসন এলাকায় মাদকের কারবার এখন আর গোপন কিছু নয়—পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এই ব্যবসা।
অথচ মূলহোতাদের বাদ দিয়ে প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ছোটখাটো, চুনোপুটি মাদকসেবীদের। ফলে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও প্রশ্ন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই মাদক চক্রের পেছনে রয়েছেন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, যাদের নাম বারবার উঠে আসছে। এদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মীরা কাশ্মীরির স্বামী মো. আলিম, মোঃ আ. মালেক ওরফে চৌধুরী (পিতা মৃত মসির উদ্দিন), মোঃ দুলাল (পিতা মৃত হামিদ), স্থানীয় গ্রাম পুলিশসহ নাম না জানা আরও অনেকে। অভিযোগ রয়েছে, এরা তরুণীদের দিয়ে দেহ ব্যবসার মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডেও যুক্ত এবং এই চক্র ধ্বংস করে দিচ্ছে এলাকার যুবসমাজকে।
অপরদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে চোরাই পথে প্রবেশ করছে নানা ধরনের মরণ নেশা। এতে করে শুধু তরুণ প্রজন্মই নয়, মধ্যবয়সী ও বৃদ্ধরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদকের কবলে। এরই প্রেক্ষিতে এলাকায় বেড়ে গেছে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানি, কালোবাজারি ও দুর্নীতির মতো অপরাধ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব ঘটনা প্রশাসনের চোখের সামনে ঘটলেও বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করছে। তারা মূল হোতাদের ধরতে ব্যর্থ হলেও মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে ছোটখাটো মাদকসেবী বা বহনকারীদের আটক করে শুধুই লোক দেখানো কাজ করছে।
এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে নিরপেক্ষভাবে ঘটনা যাচাইয়ের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীসহ সেতাবগঞ্জ পৌরসভা ও বোচাগঞ্জ উপজেলার সাধারণ জনগণ। সেইসাথে তারা পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।