
রকিবুজ্জামান, মাদারীপুর: অবৈধভাবে লিবিয়া দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার আপন দুই ভাই চার মাস যাবৎ নিঁখোজ রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো তাদের কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার।
মঙ্গলবার ওই দুই ভাইয়ের নিঁখোজের খবরে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিঁখোজ দুই যুবক হলেন- উপজেলার পশ্চিম পূয়ালী গ্রামের সিরাজ মুন্সীর ছেলে মিলন মুন্সী ও আলামিন মুন্সী।
স্বজনরা জানায়, গত ৮ মার্চ স্থানীয় গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুবব্বরের মাধ্যমে মিলন ও আলামিনসহ বেশ কয়েকজন যুবক ইতালির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পরে গত ২৫ মে তারা জানায় ২৭ মে তাদের লিবিয়া থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় রওনা দিবে তারা। তখন থেকে তাদের সাথে পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পরবর্তীতে পরিবারটি জানতে পারে ভূমধ্যসাগরে তাদের বহনকারী নৌকার ইঞ্জিন ফেটে যায় এবং সেটি ডুবে যায়। আরেকটি বোটে থাকা কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় কোস্ট গার্ড। তিন মাস জেলে থাকার পর তাদের মাঝে মাদারীপুরের একজন দেশে ফেরৎ আসলে তার কাছে ঘটনাটি জানতে পারে নিখোঁজ দুই সহোদরের পরিবার।
ব্যাংক ঋণ ও সুদে এনে দালালদের দেয়া টাকা পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন স্বজনরা।
তাদের অভিযোগ, মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুবব্বর ইতালি নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা নেন। পরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালি পাঠালে ঘটে এই দুর্ঘটনা। এমন ঘটনায় নিঁখোজদের সন্ধানের পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বরের মোবাইলে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মাদারীপুরের ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।