বেলাব(নরসিংদী) প্রতিনিধি:
নরসিংদীর বেলাবতে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত চাঁদাবাজি, চালক ও প্রতিবাদকারী সাথে দূর্ব্যাবহার ও মারধর করে থানায় আটকে রাখার প্রতিবাদে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক দেড় ঘন্টা অবরোধ করে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার বেলা ৫ টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেলাব উপজেলার নারায়নপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। অবরোধের কারনে সড়কের দুই দিকে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে তিব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি ভৈরব-মরজাল মহাসড়কে ভৈরব হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত ওসি) কয়েকজন সহযোগী পুলিশ ও দালাল দিয়ে চাঁদা আদায়’সহ বিভিন্ন হয়রানি করে আসছে, সিএনজি আটক টাকার বিনিময়ে ছেড়েদেয়া ও চালকদের মারধর করার বিষয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বিকেলে নারায়নপুর বাজার থেকে অটোরিকশা নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের পাশে আসা মাত্রই ভৈরব হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক আজিজ ও মাসুদসহ ৫ সদস্যের পুলিশ চালককে মারধর করে টেনে হেছরে অটোরিকশাটি নিয়ে যেতে চাইলে পথচারীরা বাঁধা দেন। পরে চালক ও পথচারীদের লাঞ্ছিত মারধর করে পুলিশ। পরে প্রতিবাদকারী পথচারীকে টেনে হিচরে থানায় নিয়ে আটকে রাখে। মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধে পুলিশী হয়রানির প্রতিবাদে শ্রমিক ও স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে ফেলে। অবরোধ চলাকালে উৎসুক জনতা হাইওয়ে পুলিশের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন হয়রানি অনিয়মসহ ওসির পদত্যাগে স্লোগান দিতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জুহেরা খাতুন বলেন, ‘নারায়পুর বাজার থেকে অটোরিকশাটি বাসস্ট্যান্ড আসার আগেই চার পাঁচজন পুলিশ চালককে মারধর করে অটোরিকশাটি নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা বাঁধা দিলে তাদেরকেও মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। এটা খুবই অন্যায়। বিচার চাই।’
যাত্রী ও ভুক্তভোগী চালক আ: ছালাম, মনজুসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত হচ্ছে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। পুলিশকে ম্যানেজকরে মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল করে আসছে। ভৈরব থেকে মরজাল পর্যন্ত মহাসড়কে হরহামেশা চলছে সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রাক্টর। তবে এ সুযোগ সবার জন্য নয়। যারা মাসিক চাঁদা দিবে শুধু তাদের জন্য। অন্যরা নিয়মিত ফেঁসে যাচ্ছেন পুলিশের জালে। কেউ নগদ ২-৫ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পাচ্ছেন। আবার অনেকের গাড়ির নামে টুকে দেয়া হচ্ছে মামলা। অনেককে পাঠিয়ে দিচ্ছেন আদালতে। এখানেই শেষ নয়। টাকা দিতে বিলম্ব হলে নিয়মিত চালকদের সঙ্গে অস্বজন্য আচরণের মত ঘটনাও ঘটছে।
খবর পেয়ে বেলাব থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ওসি তানভীর আহমেদ ঘটনা স্থল এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। বিচারের আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ৬টায় যান চলাচল সাভাবিক হয়।
তিনি বলেন, ‘ যানযট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিচারের বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলে, স্থানীয়রা অবরোধ প্রত্যাহার করে।
‘
ভৈরব হাইওয়ে থানার অস্থায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ফখরুদ্দিন মুঠোফোন এ বিষয়ে জানতে চাইলে। তিনি সাংবাদিক পরিচিয় দিলে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। বার বার চেষ্টা করেও ফোন ধরেননি।