![](https://jaijaikal.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
আলমগীর হোসেন কেশবপুর (যশোর) : বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ জুন শনিবার পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে তাঁর জন্মভূমি কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কেশবপুর শাখার পৃষ্ঠপোষকতায় মধুসূদন একাডেমির পক্ষ থেকে মাইকেল মধুসূদন স্মৃতি ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি, মধুগীতি পরিবেশনসহ মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতার আলিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি কেশবপুরের কপোতাক্ষ নদপারের সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি রাজনারায়ণ দত্ত ও জাহ্নবী দেবীর ঘরে জন্ম নেন। তাঁর বাবা ছিলেন জমিদার। ১৮৫৩ সালে মধুসূদন দত্ত খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করলে তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে ‘মাইকেল’ যুক্ত হয়। তিনি ‘পদ্মাবতী’ নাটক, ‘একেই বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নামের দুটি প্রহসন, ‘মেঘনাদবধ কাব্য’, ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্য’, ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক, ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ ও ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যে গাম্ভীর্যপূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক তিনি।
মহাকবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুহিন হোসেন। মুখ্য আলোচক ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন মিদ্দে। এবার মধুসূদনচর্চা ও গবেষণায় ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত: সময় ও শিল্প’ গ্রন্থের জন্য ‘মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার-২০২৩’-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহেল রাজিব। তিনি কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত , মধুসূদন একাডেমীর পরিচালক কবি ও মধুসূদন গবেষক খসরু পারভেজ প্রমুখ ।
মধুসূদন একাডেমির পরিচালক কবি ও মধুসূদন গবেষক খসরু পারভেজ বলেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মধুসূদন একাডেমির উদ্যোগে সাগরদাঁড়িতে কবির স্মৃতি ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি, মধুগীতি পরিবেশনসহ মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়।