
মো. হাসান ভূঁইয়া, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) : মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর গ্রামের সিএনজি স্ট্যান্ডে যুবলীগ নেতা ছুরাব, মহন এবং তাদের সঙ্গীয়দের হস্তক্ষেপে বেপরোয়া ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ছুরাবরা কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আদাঐর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর গ্রামে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া কিছু দিন পর পরই বৃদ্ধি করা হয়। এর নেপথ্যে যুবলীগ নেতা ছুরাব, মহনরা হস্তক্ষেপ করে। তারা গ্রামবাসীকে কোনো রকম তোয়াক্কা করে না, গ্রামের মানুষকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। কয়েক বছর আগে ছুরাব তার চাচাত ভাইকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এখনও মানুষ সেই জন্য কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু বলে না।
মিঠাপুকুরের একজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা যেন তাদের কাছে জিম্মি। তাদের ইচ্ছামতো ভাড়া দিতে হচ্ছে। কোনো যাত্রী প্রতিবাদ করলে যুবলীগ নেতা ছুরাব, মহনরা হুমকি-ধমকি দিয়ে মানুষকে আতংকিত করে রাখে।
গ্রামের বিশিষ্টজনরা জানান, আমরা গ্রামবাসী বসছিলাম তাদের সাথে বসে ভাড়ার বিষয়টা সমাধান করার জন্য। ছুরাবদের উপস্থিত থাকার কথা বললেও কোনো পাত্তা না দিয়ে উপস্থিত থাকে নাই। বরং গ্রামের বিশিষ্টজনকে তারা গ্রামের দোকান এবং স্ট্যান্ডে গালাগালি করে, কেন এই বিষয় নিয়ে গ্রামবাসী বসল। আওয়ামী লীগের পতন হলেও মিঠাপুকুর গ্রামে তারা কয়েক জন আওয়ামী লীগের দোসরররা এখনও দাপটের সাথেই চলাফেরা করছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের এক লোক বলেন, ছুরাব একজন সন্ত্রাসী, সে তার চাচাতো ভাইকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করেছে। তার এই চাচাত ভাইয়ের সাথে একটা খুনের ও ঘটনা আছে, তার বসতভিটাও তার না। এই জায়গা তার বাবা গরু চুরিতে ধরা খেয়ে বিক্রি করে দেয় তার চাচার কাছে। তবে আপনজন হিসেবে রেজিস্ট্রি করে দেয় নাই। তারপর তার বাবার মৃত্যুর পর সে ওই জায়গা দখল নেয়। এমন অনেক ভয়ংকর অভিযোগ আছে তাদের নামে। এই আওয়ামী দোসরদের বিচার চাই।
ভাড়ার বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ভাড়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
স্থানীয়রা এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের আহ্বান জানিয়েছে।