শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

মুজিবাদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমদর্শী দেশ চাই : র,আ,ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি

আমাদের মাঝে আবার ফিরে এসেছে বেদনাবিধুর ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাঙালির মহত্তম ব্যক্তিত্ব, জাতির পিতা (Founding father of the Nation) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, দুই কন্যা ব্যতীত সপরিবারে হত্যা করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিল খন্দকার মোশতাক এবং সেনাবাহিনীর দলছুট একদল ঘাতক সেনা অফিসার। মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নিহত হলেন স্বদেশের সদলের চক্রান্তকারীদের দ্বারা। নেপথ্যের খলনায়করা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, পাকিস্তান, সৌদি আরব আর লিবিয়া।
উপমহাদেশের প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এবং তাদের এদেশীয় দোসর মুৎসুদ্দি আমলা গোষ্ঠী ও লুটেরা ধনিক গোষ্ঠী এই ঘাতকদের সহযোগী ছিল। বঙ্গবন্ধু সরকারের উৎখাতের পর ক্রমান্বয়ে মতাসীন মোশতাক-জিয়া-সাত্তার আর এরশাদের রাজনৈতিক আর্থিক ও সাংস্কৃতিক নীতিনির্ধারণ থেকেই আমাদের বক্তব্যের যথার্থতা খুঁজে পাওয়া যাবে। গণতান্ত্রিক রাজনীতি, শোষণমুক্ত অর্থনীতি আর আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির বিপরীতে (এই আদর্শিক বিষয়াদি বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসিক্ত অবস্থান) সামরিক-বেসামরিক-আমলা আর মুৎসুদ্দি ব্যবসায়ী চক্রের রাজনীতি, কায়েমি স্বার্থের অবাধ পুঁজিবাদী অর্থনীতি আর সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি প্রতিস্থাপনের দর্শনকে এগিয়ে নেওয়াই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও ক্ষমতাচু্যুত করার মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল।
স্বাধীন বাংলাদেশ এবং রাষ্ট্রপিতার আদর্শিক অবস্থান কোনোভাবেই পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গজিয়ে ওঠা নব্য ধনিক-বণিক শ্রেণি ও স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সুযোগ সন্ধানী ধনিক-বণিক গোষ্ঠীর অনুকূলে ছিল না। তাদের সঙ্গে কট্টর পাকিস্তানপন্থি ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক শক্তির গাঁটছড়া গড়ে ওঠা সহজতর হয়ে যায়। আমলা (সামরিক-বেসামরিক উভয় গোষ্ঠী) মুৎসুদ্দির সুযোগ সন্ধানী চরিত্রও এই চক্রান্তে শামিল হয়েছিল। এই গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের উদ্দেশে এক হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু হত্যার সময়ে ক্ষমতাসীনদের রাজনীতিতে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা প্রবলভাবে বিরাজমান ছিল। প্রত্যেক জেলায় জেলায় থানায় থানায় ক্ষমতাসীনরা বহুধাবিভক্ত অবস্থায় বিরাজমান ছিল। সাংগঠনিক অবস্থা খুবই দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। বিশেষত, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল মূল দল আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে যাওয়ায়, ছাত্রলীগ-শ্রমিক লীগে বিভক্তি আসায় দলের অবস্থান সাধারণ্যে অনেকটাই প্রশ্নচিহ্নিত হয়ে যায়। জাসদের বিকল্প হিসেবে প্রথমে ত্রিদলীয় ঐক্যজোট (আওয়ামী লীগ, ন্যাপ (মোঃ), সিপিবি) ও পরে বাকশাল গঠন করে এই সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার প্রয়াস নিলেও কার্যত তা রাষ্ট্র ও সমাজ কাঠামোতে কোনোরূপ প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়। সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগের বাইরে ন্যাপ (মোঃ) ও সিপিবি ছিল গণবিচ্ছিন্ন দল। গণমানুষের ভিতরে এদের কোনোই প্রভাব ছিল না। প্রমাণ ন্যাপ-সিপিবির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠে নেতার আশ্রয়ে বেঁচে থাকা ও সমৃদ্ধি অর্জন।

সরকার ও দল উভয়টাই চলছিল বঙ্গবন্ধুর একক জনপ্রিয়তায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রাষ্ট্রীয় কাজে (জাতীয়, আন্তর্জাতিক) তাঁর ব্যস্ততার ব্যাপৃতের কারণে সাংগঠনিকভাবে তিনি কোনো সময় দিতে পারেননি। তিনি আস্থায় নিয়ে যাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে দিলেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন যোগ্যতার ক্ষেত্রে হ্রস্ব, কেউ কেউ উচ্চাভিলাষী বিধায় দলের অভ্যন্তরে নিজস্ব বলয় সৃষ্টিতে ব্যস্ত। দলের সামগ্রিক সাংগঠনিক ক্ষেত্রে তাদের কর্মতৎপরতা অনুপস্থিত ছিল। ইতিহাসবিদ এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহমদ মনে করেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্বলতা, অক্ষমতা, অদূরদর্শিতা, নিজেদের অবস্থান সম্বন্ধে আত্মতুষ্টি এবং অবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ও অসাবধানতার ফলেই শেষ পর্যন্ত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের জাতীয় বিপর্যয় ঘটে গেল। যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা, বাংলার আপামর জনগণের নয়নমণি, সেই মহান নেতাকে সপরিবারে রাতের অন্ধকারে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করতে হলো এ দেশেরই কিছুসংখ্যক মানুষের হাতে। গোটা বাঙালি জাতির ইতিহাসে এর চেয়ে বড় ট্র্যাজেডি আর কী হতে পারে? কিন্তু এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে আমরা কতখানি সোচ্চার হয়েছিলাম আজ সে কথা মনে করলে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। ’
তবে একথা সত্য যে, নেতৃত্বের প্রথম ও দ্বিতীয় সারির নেতারা মোশতাকের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুললেও আমরা যারা তৃতীয় সারির নেতা ছিলাম, তারা কিন্তু বসে থাকিনি। এ সময়ে জাতীয় যুবলীগ ও জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে থাকা আমরা কয়েকজন এবং সাংসদদের মধ্যে মধ্যস্তরের কয়েকজন নেতা ১৫ আগস্টের হত্যাকা-ের হোতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিই। ছাত্র ইউনিয়নের যেসব নেতা জাতীয় ছাত্রলীগে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কাজ শুরু করলাম। আমরা গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানাতে শুরু করি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ২০ অক্টোবর খুনি মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে আমরা প্রথম মিছিল বের করি। মিছিলে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা হলেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব জামান, ছাত্র ইউনিয়নের নেতা কাজী আকরাম হোসেন ও অজয় দাশগুপ্ত, ছাত্রলীগের নেতা আমি (রবিউল আলম চৌধুরী), মমতাজ হোসেন, খালেদ খুররম এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও নগর ছাত্রলীগের নেতা শহীদুল আলম বাদল, মৃণাল সরকার, কামরুল আহসান খান, খ ম জাহাঙ্গীর, বাহলুল মজনুন চুন্নু, হাবিবুর রহমান খান, মুকুল বোস, স ম সালামসহ ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্রকর্মী। পরের দিনও আমরা সমবেত হয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
২১ অক্টোবর যখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করি, তখনই দেখতে পাই, কতিপয় গুন্ডা দেশি অস্ত্রসস্ত্র, যেমন: হকিস্টিক, কাঠের লাঠি ইত্যাদি নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। আমরা মধুর ক্যানটিনে যেই গিয়ে বসেছি, অমনি আমাদের ওপর হামলা হয়। আমরা তাদের এই ঘৃণ্য হামলায় ঘাবড়ে যাইনি, বরং এই হামলা প্রতিহত করে এদিনও একটি মিছিল বের করতে সক্ষম হই। আমাদের মিছিল অনেক বড় হয়েছিল। কয়েক শ ছাত্রছাত্রী মিছিলে শামিল হয়েছিল। জগন্নাথ কলেজ, ঢাকা কলেজ থেকেও আমাদের কর্মীরা এসেছিল। ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মাহবুব জামান, কাজী আকরাম, অজয় দাশগুপ্ত ও আমি বক্তৃতা করেছিলাম সমাবেশে। এর পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমাদের কর্মতৎপরতা ও উপস্থিতি বেড়ে যায় (কোনো কোনো বন্ধু আমাদের সঙ্গে থাকলেও ক্যাম্পাসে আসেনি কখনো)। নগরের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের কাজ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আমরা বঙ্গবন্ধু ভবনে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রতিনিধিদল ভাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে বক্তব্য দিতে শুরু করি। আমার ভাগে পড়েছিল কলাভবন। আমরা এ সময় আওয়ামী লীগকেও সংগঠিত করার কাজে তৎপর হই। দিকনির্দেশনাহীন এক বিশাল কর্মীবাহিনী ও দেশপ্রেমিক জনগণকে সংঘবদ্ধ করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় বটতলা থেকে আমরা যে ঐতিহাসিক মিছিলটি বের করি, সেটি গিয়ে শেষ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু ভবনে এবং সেদিন মোনাজাত পরিচালনা করেছিলেন মাওলানা জেহাদী।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে যারা জড়িত ছিল, রাজনৈতিক দর্শনের দিক থেকে তারা সবাই দক্ষিণপন্থি। অনেকেই ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধেও অনেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। খন্দকার মোশতাক, শাহ মোয়াজ্জেম, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, কে এম ওবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ উল্লাহ, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর, কাজী জহিরুল কাইয়ুম, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখের পাশাপাশি জিয়াসহ সামরিক বাহিনীর কুলাঙ্গাররা চেনাজানা। এদের বাইরেও যারা রয়ে গেছে তারা কারা? সংবাদপত্র জগতের লোকেরা (যাদের অনেকেই ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন এবং এখনো পেয়ে যাচ্ছেন), ব্যবসা-বাণিজ্যের লোকেরা (যারা ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন এবং এখনো পেয়ে যাচ্ছেন) তারা কারা? এই নেপথ্যের লোকেরা হর্তাকর্তারা আইয়ুবীয় ধাঁচের রাজনীতিতে আস্থাবান। জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ওদের মূল বাণিজ্য। বাস্তবে এরা মুৎসুদ্দি পুঁজির লোক। এদের চিহ্নিত করতে হবে। আমাদের ভাষা, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ইতিহাস, আমাদের ঐতিহ্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাহন, বাংলাদেশের ভিত্তি। এই ভিত্তিকে ধ্বংস করতেই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড, যা আজও অব্যাহত, বঙ্গবন্ধু বন্দনার নামে। এ অবস্থার অবসান চাই।

পনের আগস্টের ঘটনাবলির শুধুমাত্র একটা ঘৃণ্য দিকই উন্মোচিত হয়েছে। দলছুট সামরিক কর্মকর্তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখামুখি করে শায়েস্তা করা সম্ভব হয়েছে। ঘাতকদের কেউ কেউ এখনও পর্যন্ত শাস্তি ভোগ না করলেও আদালতে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়ছে। কিন্তু রাজনীতিবিদদের চক্রান্তকে আজও অব্দি পুরোদস্তুর পাদপ্রদীপের আলোতে আনা সম্ভব হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগও তা করেনি। গতানুগতিকতার গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলাফল রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ও দুষ্টচক্রের দাপট। এ দাপটের কারণে সর্বত্র আজ অন্ধকারের কালো ছায়া। পনের আগস্ট পরবর্তী সীমিত আকারের প্রতিরোধ আন্দোলন সংগ্রামে যারা সেদিন ঘরে বসে বসে কাজ করেছে তারা আজও ঘরে বসে বসেই রাজা উজির মারছে। কাজের কাজ কিচ্ছু হচ্ছে না। রাজনীতি এখন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে নেই। সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র আর ধনিক-বণিকদের হাতে চলে গেছে রাজনীতি। রাজনীতির বাণিজ্যিকরণ হয়ে গেছে। পাকিস্তানি ধারায়। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়েছে ক্রমান্বয়ে। তাই চারিদিকে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ বিদ্যমান, এ অবস্থাটি মুজিবাদর্শের সাথে একেবারেই বেমানান।

এমতাবস্থায় আমরা মুজিবাদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমদর্শী দেশ চাই। এজন্য প্রয়োজন মুজিবাদর্শের বাস্তবায়ন। শোকের মাসের দাবীও তাই। বাঙালির জাতীয় রাষ্ট্র হবে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন অর্থনীতির রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল তাই। সুতরাং আসুন সকলে মিলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই। এর অন্যথায় বিপর্যয় ডেকে আনতে বাধ্য।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক : সংসদ সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পঁচাত্তর পরবর্তী প্রতিরোধযোদ্ধা
সম্পাদক, মত ও পথ এবং উপদেষ্টা সম্পাদক -দৈনিক যায়যায় কাল

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ