
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সরকারি পশু হাসপাতাল সংলগ্ন ‘রাম লদের খাল’ প্রাচীন কাল থেকে এ খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে। ধীরে-ধীরে খালটি প্রায় মৃত রূপধারণ করছে। এ সুযোগে একটি স্বার্থান্বেষী মহল খালটি দখল করার পায়তারা করছে। কিন্তুক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছে খাল দখল করার সুযোগ নেই। যারা খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা করবে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ খাল দিয়ে বর্ষাকাল এছাড়াও বিভিন্ন বাসা-বাড়ির পানি সবসময় প্রবাহিত হয়ে রহমত খালী খালে এগিয়ে মিলিত হয়।
ইতিমধ্যে একটি কুচক্র মহল ভুলভাল তথ্য উপস্থাপনা করে জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নেয়। বাস্তবিকভাবে এ ‘রাম লদের খাল’ জেলা প্রশাসক (ডিসি’র) ১ নম্বর খতিয়ান অন্তর্ভুক্ত।
সম্প্রতি খালটি ভরাট করার জন্য মালবাহী পিক-আপ ভ্যান ভর্তি বালু আনা হলে জেলা প্রশাসনের লোকজন গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।
এরপরও ওই কুচক্র মহল বিভিন্নভাবে খালটি দখল করার পায়তারা করছে। যদি খালটি ভরাট করা হয়। এতে দক্ষিণ তেহমুণী এলাকা থেকে পৌরসভার (৭নং ওয়ার্ড) গণি হেডমাস্টার সড়ক ও হাসপাতাল রোড এলাকা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাকিবুল হাসান রিপন জানান, বাসিন্দা মো. রাজু আহম্মেদ বলেন, দীর্ঘ বছর এ খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হতো। দিনদিন দখল বাজদের কারণে খালটি প্রায় মৃত। সামান্য বৃষ্টি হলে আমরা পানি বন্দী হয়ে পড়ি। যার ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। দ্রুত খালটি দখল বাজদের কবল থেকে পূর্ণ উদ্ধারের জোর দাবি করছেন।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া বলেন, যতটুকু খবর নিয়ে জেনেছি খালটি জেলা প্রশাসকের,জেলা পরিষদের নয়। বর্ষাকালীন এ খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়। এছাড়া পৌর-বাসীর বাসা-বাড়ির পানিও এ খালে পড়ে। প্রয়োজনে আমরা পৌরসভা থেকে ড্রেন করবো। কোনভাবেই এ খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা করার সুযোগ নেই।
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই আরফিন সরকার জানান, কোনভাবেই কোন খাল ভরাট করার সুযোগ নেই। খাল টা আমাদের না জেলা প্রশাসকের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিস্তারিত খবর নিয়ে জানতে হবে। একসময় জেলা পরিষদের জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো জেলা প্রশাসক দেখভাল করতো।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বলেন, খাল দখল করা যাবে না। যদি কেউ খাল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।