
নিজস্ব প্রতিবেদক : যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, যতদিন বিএনপি-জামায়াত অবরোধ দেবে, যতদিন নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবে, আমরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথেই থাকবো।
সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১৩ আসনের শ্যামলীতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের ‘পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং অবৈধ অবরোধের’ প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসনভিত্তিক এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘আজ যে সন্ত্রাসবাহিনী ধ্বংসলীলা করছে, তাদের আসল পরিচয় কী? তাদের আসল পরিচয় আলবদর, আল-শামস, রাজাকার বাহিনীর সঙ্গে সখ্য, যাদের হাতে লেগে আছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের দাগ। তাদের দোসর সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি। যারা এ দেশকে একটি পশ্চাৎপদ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অপশক্তি বলে টেকব্যাক বাংলাদেশ। আমরা পেছনের দিকে যেতে চায় না, আমরা সামনের দিকে ধাবিত হচ্ছি। এই অগ্রযাত্রা চলমান থাকবে বাংলাদেশে। যতদিন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এ দেশে বিরাজমান, ততদিন অপশক্তি কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘তারাও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে এসেছিল। এসে কী করেছে? এ দেশে জঙ্গিবাদের আবির্ভাব ঘটিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে চরম অপমান ও অবমাননা করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছে। আর সেই পেছনের দিকে ফিরে যেতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার দাবি তুলেছি, এই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আসল পরিচয় জানা জনগণ এবং আজকের প্রজন্মের অধিকার। এই অধিকার আমাদের দিতে হবে। আমরা জানতে চাই, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের জিয়াউর রহমানের প্রকৃত ভূমিকা। সে কীভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে, তা জানার জন্য একটি স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের প্রকৃত মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার। তারেক রহমানের মুখোশ আজ আপনাদের সামনে পরিষ্কার হচ্ছে। জিয়াউর রহমানও মুখোশধারী, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, জামায়াতের দোসর। তার মুখোশও উন্মোচিত হবে।’
ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও ছিলেন– যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, হাবিবুর রহমান পবন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।