
শাহাদাৎ হোসেন লাল, স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ব্যাপারীর বিরুদ্ধে ভুয়া প্যানেল চেয়ারম্যান গঠনের অভিযোগ তুলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক।
গত ৮ অক্টোবর তিনি এই ভুয়া প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ব্যাপারীর শাস্তির দাবিতে জেলা-উপজেলায় দিয়েছেন লিখিত অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ব্যাপারী নিজেকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দাবি করে পরিষদের সকল নাগরিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সেবা নিতে আসা নাগরিকদের জন্ম সনদ ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমে তার স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার করছেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন অনুযায়ী গত ১৩ জুন ইউনিয়ন পরিষদের এক বিশেষ সভায় ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আমজাদ হোসেনকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। অথচ শহিদুল ইসলাম ব্যাপারীর স্বাক্ষরিত জন্ম সনদ ও ওয়ারিশ সনদের কপি এ প্রতিবেদকের হাতে চলে আসে।
এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান তার কার্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে পরিষদে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে জেলা উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত টিম আসে পরিষদ কার্যালয়ে। তদন্তের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ এখনও শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আপনি কোনো আদেশে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শহিদুল ইসলাম ব্যাপারী তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নির্বাচনের পরে প্রথম মিটিং এ তাকে প্যানেল চেয়ারম্যান করা হয়। সে অনুযায়ী কাগজপত্র স্বাক্ষর করছেন। চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় ইউনিয়নের অনেকেই সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের দিক বিবেচনা করে কাগজপত্র স্বাক্ষর করছেন বলে স্বীকার করেছেন
ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে আপনি জুলাই মাসের পর থেকে আপনার কার্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন কিনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, আমি অফিসিয়ালভাবে সামরিক বরখাস্ত’র কোন কাগজপত্র বা চিঠি পাইনি তাহলে কীভাবে বুঝব আমি বহিষ্কার বা বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম বলেন, ক্ষমতার বলে এসব কার্যকলাপ করছেন তিনি। অফিসিয়ালভাবে তাকে এধরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।