ওয়াহেদুজ্জামান দিপু,ইতালিঃ-স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বসবাস ও আবাসন আইন না মানার’ অভিযোগে ইতালিতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ৭০ মিটারের ওই বাসায় ২১ বাংলাদেশি নাগরিককে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানায় তারা।
এসময় বাসার মালিককে ‘স্বাস্থ্যবিধি ও ইতালির আবাসন আইন না মানায়’ জরিমানা করা হয়।মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী রোমের তেরমিনি এলাকায় এ অভিযান চালায় স্থানীয় পুলিশ। এ নিয়ে দেশটির পত্রিকা ‘লা রিপাবলিকা-রোমা’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়ে, ‘রোম তেরমিনি এলাকার বাংলাদেশি মালিকানাধীন ৭০ মিটারের একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ২১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেখতে পায় পুলিশ।
এদের সবাই দেশটিতে বৈধভাবে বসবাস করলেও বাসার মধ্যে কেউ স্বাস্থ্যবিধি ও ইতালির আবাসন আইন মেনে চলেনি। তারা সবাই ওই বাসার মালিককে প্রতিটি সিটের জন্য মাসিক ৩০০ ইউরো করে ভাড়া দিত।
দেশটির আবাসন আইন ২৯ এর ৩ ধারা অনুযায়ী, প্রতি ১৫ মিটারে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক বসবাসের নিয়ম রয়েছে। এছাড়া রসিদ ও ব্যাংক ব্যতীত বাসা ভাড়ার টাকা লেনদেন দেশটিতে সম্পূর্ণ অবৈধ। ওই বাসায় অভিযানের সময় এ দুটি বিষয়েই অনিয়ম পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ওই বাসার নিচতলায় থাকা দুই ইতালিয়ান নাগরিক এ বিষয়ে অভিযোগ জানায়। অভিযানের সময় আমরা বাসাটিকে ‘নোংরা’ দেখতে পাই। বিশেষ করে বিছানা ও রান্নাঘর ছিল ব্যবহারের ‘অযোগ্য’। ইতালির আইনানুসারে এই বাসায় মাত্র ৪ জন থাকার অনুমতি ছিল, কিন্তু সেখানে তারা ২১ জন থাকেন।
নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাসার এক বাসিন্দা মুঠোফোনে বলেন, আমরা বাসা পাই না বলে আমাদের এভাবে থাকতে হয়। তাছাড়া এভাবে থাকলে আমাদের ভাড়াটাও একটু কম দিতে হয়।
এ বিষয়ে ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশীরা বলেন, “ইতালিতে বর্তমানে আবাসন সংকট চলছে। বড় শহরগুলোতে প্রবাসীরা এভাবেই বসবাস করে। কাজের চাহিদা বেশি হওয়ায় সবাই এখানে থাকতে চায়, কিন্তু সে অনুযায়ী বাসার অনেক সংকট রয়েছে।”
“বাংলাদেশিদের এই মনোভাবের জন্য বর্তমান অনেক ইতালিয়ান নাগরিক তাদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না”, যোগ করেন প্রবাসীরা।
‘লা রিপাবলিকা-রোমা’-এর প্রতিবেদন বলা হয়, স্থানীয় আইনানুসারে ওই বাসার মালিককে জরিমানা করা হয়েছে এবং বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য আদালত বরাবর আবেদন করেছেন ওই বাসার আসল মালিক।