সোমবার, ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

র‌্যাবের মুখপাত্র হলেন লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস

নাঈম হোসেন, রাজশাহী : র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। বর্তমানে তিনি র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক হিসেবে রাজশাহীতে কর্মরত রয়েছেন। চলতি সপ্তাহে মুনীম তার দায়িত্ব নিতে পারেন।

তিনি র‌্যাবের ১৩তম মুখপাত্র হবেন। সোমাবার র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

সূত্র বলছে, বর্তমান মুখপাত্র কমান্ডার আরাফত হোসেনকে বদলি করে র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক করা হয়েছে। তার জায়গায় দায়িত্বে আসছেন মুনীম ফেরদৌস। এছাড়া র‌্যাব-৪ এর লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমানকে র‌্যাব সদর অবস উইংয়ে। লে. কর্নেল কাজী যোবায়ের আলম শোভনকে র‌্যাব-৮ থেকে র‌্যাব-৩ এ, লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীরকে র‌্যাব-৩ থেকে র‌্যাব-৫ এ বদলি করা হয়েছে।

জানা গেছে, র‌্যাবের ইতিহাসে সব থেকে কমদিন মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন আরাফাত; যা অতীতে কেউ করেননি। তিনি মাত্র দুই মাস ১৩ দিন এই পদে থাকলেন। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল আরাফাত ইসলামকে র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক থেকে মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়ে সদরদপ্তরে আনা হয়। গত বছরের জানুয়রিতে তিনি ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন।

র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনীমের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। অল্পদিন র‌্যাব-৫ এর দায়িত্ব পাওয়া মুনীমের বেশকিছু অভিযান বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এর মধ্যে তিনি অত্র ব্যাটালিয়নে যোগদানের পর অবৈধ অস্ত্র বিরোধী অভিযানের মাধ্যমে ১৩টি বিদেশী পিস্তল, ৪৫টি ওয়ান শুটারগানসহ সর্বমোট ৫৮টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেন। বর্ণিত কর্মকর্তার বলিষ্ঠ ও চৌকষ নেতৃত্বে এবং দিক নির্দেশনায় নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার মাধ্যমে সর্বমোট ৬৬ হাজার ৪৪৬ কেজি হেরোইন, ১৬ হাজার ৪১০ পিস ইয়াবা, ১৪ হাজার ১০১ পিস ফেন্সিডিল, ৮৫৬ কেজি গাঁজা , ৩ হাজার ৯২৪ পিস ব্রুপিনরফিক ইঞ্জেকশন, ২০ হাজার ১১৯ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট এবং ৩১ হাজার ৩৮৬ লিটার চোলাইমদ উদ্ধার করেন।

তিনি অত্র ব্যাটালিয়নে যোগদানের পর ২২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী, ৭০৭ জন মাদক ব্যবসায়ী, হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজ, ডাকাতি, ছিনতাই ও অন্যান্য চাঞ্চল্যকর মামলার আসামীসহ সর্বমোট ১ হাজার ৪৭৬ জন অপরাধী গ্রেফতার করেন।

বর্ণিত কর্মকর্তার দিক নির্দেশনায় নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোট ১১টি কিশোর গ্যাং বিরোধী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে সর্বমোট ৪৮ জন কিশোর গ্যাং সদস্য গ্রেফতার করা হয়।

তিনি যোগদানের পর অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চাঁদাবাজ বিরোধী অভিযানের মাধ্যমে সর্বমোট ১২৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।

বর্ণিত কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে দীর্ঘ এক মাস কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্য সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্নস্থানে অত্যান্ত সুকৌশলে সপ্তাহব্যাপি অভিযান পরিচালনা করে হ্যালো গ্রুপ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৮
জন প্রতারককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

তিনি যোগদানের পর অত্র ব্যাটালিয়ন ১৫ টি ব্যাটালিয়নের মধ্যে আভিযানিক সাফল্যে জানুয়ারি-২য়, ফেব্রুয়ারি-১ম, মার্চ-১ম এবং এপ্রিল মাসে ২য় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *