এস এম আক্কাস, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর সদরের নলুয়া গ্রামের বটতলা এলাকার চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী রইস উদ্দিনের হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও দুই জন হত্যাকারী গ্রেফতার। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু এবং ভিকটিমের লুন্ঠিত মোবাইল, ট্রাউজার ও লুঙ্গি উদ্ধার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় শাহজাদপুর জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেন।
আটককৃত আসামিরা হলেন- শাহজাদপুর পৌরশহরের নলুয়া বটতলা গ্রামের মো. মামুন (২৮), পিতা আজিজ মন্ডল এবং আসামি জয়নাল শেখ (৫০), পিতা মৃত রানু শেখ। একই থানার জুগ্নীদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তারা।
তাদের দেখানো মতে টয়লেট থেকে ভিকটিম রইস এর ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন, আসামি মামুনের বাড়ি থেকে রইসের ট্রাউজার এবং রইসের বাড়ির পাশের ডোবা হতে রক্তমাখা লুঙ্গি ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়।
আসামি মো. মামুন ও মো. জয়নালকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মামুন পেশায় রাজমিস্ত্রী। জয়নাল ভবঘুরে টাইপের মানুষ। আসামি মামুন ও জয়নাল মাঝে মাঝে ভিকটিম মৃত রইসের দোকানে বসে আড্ডা দিত। আসামি মামুন, জয়নাল ও ভিকটিম রইস পূর্ব পরিচিত। আসামি মামুন ও জয়নাল এর কাছে টাকা না থাকায় তারা ব্যবসায়ী রইসের টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আসামি মামুন শাহজাদপুর থেকে একটি চাকু ক্রয় করে। এরপর ৩ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে তারা রইসকে অনুসরণ করতে শুরু করে।
একই তারিখ রাত আনুমানিক ১০টায় রইস বাড়ি যাওয়ার পরে রাত আনুমানিক ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে আসামি মামুন এবং জয়নাল রইসের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে রইসকে ডাক দেয়। রইস বাহিরে বের হলে আসামি জয়নাল রইসকে চেপে ধরলে রইস মাটিতে পড়ে যায়। আসামি মামুন রইসকে জবাই করে হত্যা করে এবং রইসের ঘরের তোশকের নিচে থাকা ১৬ হাজার টাকা আসামি মামুন নেয়।
এরপরে রইসের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল এবং রক্ত গামলাতে করে টয়লেটে ফেলে দেয়। মামুনের রক্তমাখা লুঙ্গি এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু বাড়ির পাশে ডোবাতে ফেলে দেয়। এরপর মামুন রইসের লাশ একটি বস্তার মধ্যে ডুকিয়ে আসামি জয়নালের সহায়তায় জনৈক শফিকুলের ডোবায় ফেলে দেয়।
এরপর মামুন নিজে ১০ হাজার টাকা নেয় এবং জয়িনালকে ৬ হাজার টাকা দেয়। এরপর তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে।