
মিনহাজ আলী, শিবগঞ্জ (বগুড়া): পবিত্র রমজান মাস যখন শেষের দিকে তখন প্রতিবছরের মতো এবারও বগুড়ার শিবগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের বাজার ও কেনাকাটা। গতকাল শুক্রবার উপজেলার শিবগঞ্জ, মহাস্থান, মোকামতলা, কিচক, দাড়িদহ, গুজিয়া হাটসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
ঈদ মানেই একরাশ খুশি, রাশি রাশি আনন্দ। এই আনন্দ ধনী থেকে গরিব প্রায় সর্বত্রই সম্প্রসারিত। মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দকে আরও বহুগুণ বর্ণিল করে তোলে রকমারি ডিজাইন, বাহারি রঙের কাপড় ও নকশায় বানানো পোশাক। তা শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ যে বয়সেরই হোক না কেন। এই ঈদে নিজেকে ও প্রিয়জনকে সাজানোর জন্য অন্যতম আকর্ষণ হলো বিভিন্ন রকমের আকর্ষণীয় নামের পোশাক-পরিচ্ছদ, জুতার বাহার, বিভিন্ন ধরনের প্রসাধন সামগ্রী, গহনা ও চুড়ি।
ধনীদের জন্য স্বর্ণালঙ্কার পছন্দনীয় হলেও অপেক্ষাকৃত মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও দরিদ্রদের জন্য ফুটপাতের গহনা ও কাঁচের চুড়ি পছন্দনীয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। যার যার সাধ্যমতো মেতে উঠেছে কেনাকাটায়। চোখ-ধাঁধানো আলোকোজ্জ্বল মার্কেট ও ফুটপাতে শোভা পাচ্ছে নান্দনিক ডিজাইনের সব পোশাক। ঈদ উৎসব তিন-চার দিনের হলেও এর আমেজ শুরু হয় রোজার প্রায় শুরুতেই। ঈদ উৎসবকে প্রাণবন্ত করতে বিপুল পরিমাণ বাড়তি টাকার লেনদেন হয় পোশাক খাতে। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই এ সময়ে সারা বছরের গ্লানি মুছে দিয়ে কোলাকুলি ও আনন্দ বিনিময়ের মাধ্যমে একাত্মতা প্রকাশ করে থাকে। প্রত্যেকেই সামর্থ্য অনুযায়ী ঈদ কেন্দ্রিক একটা বাজেট তৈরি করেন।
মোকামতলার ইছাহক আলী মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী আহসান হাবিব খোকন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেঁচা বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। সারাদিন মার্কেটের মধ্যে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। ঈদ পর্যন্ত এমন বেঁচা বিক্রি থাকলে আশা করা যায় ঈদ মৌসুমের কাঙ্খিত টার্গেট পূরণ হবে। ঈদের ছুটি কাটাতে কেউ যায় দেশের বাড়িতে, কেউ পাড়ি জমায় বিদেশে। উচ্চবিত্তরা দেশের বাইরে গেলেও মধ্যবিত্তরা ছুটে যান দেশের বাড়িতে। ফলে পরিবহন খাতও হয় সমৃদ্ধ।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সারওয়ার পারভেজ জানান, চুরি-ছিনতাই ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যপক তৎপরতা রয়েছে।