মঙ্গলবার, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সন্দ্বীপে কোভিড টিকা কর্মসূচির সম্মানি না পাওয়ার অভিযোগ

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি: কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে টিকাদান কর্মীদের জন্য সম্মানি বাবদ টাকা জমা হয় সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের হিসাব নম্বরে।

২০২৩ সালের ৪ জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে এসব অর্থ জমা হয়। টাকা জমা হওয়ার পর অ্যাকাউন্ট থেকে দুই ধাপে সব টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু দেড় বছর পার হলেও সম্মানির টাকা পাননি বলে অভিযোগ করছেন সন্দ্বীপ উপজেলার ৪৫ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী মাঠ পর্যায়ের টিকাদান কর্মীরা।

বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিবার কল্যান সহকারী যায়যায়কালকে বলেন, আমরা এক বছর আগে জেনেছি গত ২০২২ সালে ফাইজার টিকা ও বোস্টার টিকার ২৪ লাখ টাকা অফিসে জমা হয়েছে। কিন্তু আমরা বার বার আমাদের সম্মানি চেয়েও এখনো পর্যন্ত পাইনি।

এই ছাড়াও একজন পরিদর্শিক যায়যায়কালকে বলেন, অধিদফতরের নির্দেশে আমরা জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারী যৌথভাবে কাজ করে। পরবর্তীতে যখন বরাদ্দ আসে তখন বার বার পরিবার কল্যান সহকারীগণ তাদের প্রাপ্য সম্মানি থেকে বঞ্চিত হয়।

এ বিষয়ে পরিবার কল্যাণ সহকারীরা সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন বলেও তারা জানান। তারা অতি দ্রুত চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনকে স্মারকলিপি দিবেন বলেও জানান।

জানা গেছে ২০২২ সালে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড টিকাদান এবং একই বছরে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকার বুস্টার ডোজের টিকা প্রদানের জন্য চার ধাপে ২৪ লাখ টাকা সম্মানি আসে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সরকারি হিসাব নম্বরে।

এরমধ্যে ২০২৩ সালের ৪ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস থেকে ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮১২ টাকা, ২৭ আগস্ট ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৫ টাকা, ১২ অক্টোবর ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৫ টাকা এবং ২৩ নভেম্বর ২ লাখ ৮১ হাজার ২৮৫ টাকাসহ সর্বমোট ২৪ লাখ ৭৪৭ টাকা জমা হয়। এরমধ্যে চেকের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ২৬ জুন ১৪ লাখ টাকা এবং ২৮ ডিসেম্বর ১০ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ২৪ লাখ টাকা নগদে উত্তোলন করা হয়। যা সন্দ্বীপ উপজেলার ৪৫ ওয়ার্ডে নিয়োজিত স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারীদের মধ্যে বিতরণের কথা ছিল। পরে স্বাস্থ্য সহকারীরা পেলেও এখনো পরিবার কল্যান সহকারীরা পাননি।

এ বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার মানস বিশ্বাস বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীদের টাকা প্রদান করা হয়েছে। পরিবার কল্যাণ সহকারীদের টাকা আটকানো ছিল তাও দ্রুত দিয়ে দেয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ