
মো. আখতার হোসেন হিরন, সলঙ্গা: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা বাজারে নামাজের সময় জুতা বিক্রি বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। এমন উদ্যোগ গ্রহণে ব্যবসায়ীরা সর্বমহলে হচ্ছেন প্রশংসিত। তাদের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী সলঙ্গা বাজারের পাদুকা সমবায় সমিতির ব্যবসায়ীরা গত কয়েক দিন থেকে নিজ উদ্যোগে এ সিদ্ধান্ত নেন।
শনিবার নামাজের পূর্ব মুহূর্তে জুতার শোরুমে গিয়ে দেখা মেলে এমন চিত্রের। মসজিদে আযানের ধ্বনি হওয়ার সাথে সাথে জুতা বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। এ সময় ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জানিয়ে দেন নামাজের পর আসবেন, এখন আমরা নামাজে যাব। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অর্ধেক খোলা বা বন্ধ রেখেই সবাই নামাজে চলে যাচ্ছেন। এ বিষয়টি গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হতে দেখা গেছে। অনেককে বলতে শোনা গেছে তারা নামাজের জন্য ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে ধর্মীয় অনুশাসনের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যা বর্তমান সময়ে কোথাও দেখা যায় না। এ যেন নবী মোহাম্মদ (সাঃ)’র সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিল বাজারের জুতা ব্যবসায়ীরা। তাদের এ সিদ্ধান্ত সর্ব মহলে প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও নামাজের সময় ব্যবসা বন্ধ রাখার কথা চিন্তা করেছেন বলে সলঙ্গা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও যুবনেতা শাহীন রেজাসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান।
সলঙ্গা বাজার পাদুকা সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা পাদুকা (জুতা) ব্যবসায়ীরা গত কয়েক দিন ধরে এই উদ্যোগ নিয়েছি।
জুতা ক্রেতা হুমায়ন কবির রানা, ইসরাত জাহান সীমা বলেন, আসরের নামাজের সময় জুতা কিনতে এসে দেখি জুতা বিক্রি বন্ধ। নামাজের সময় হয়েছে। এ জন্য তারা দোকান বন্ধ রেখেছে। তাদের এ উদ্যোগে আমরা অত্যন্ত খুশি হয়ে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
সলঙ্গা ইক্বরা ইসলামি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা তরুণ ইসলামিক চিন্তাবিদ মাওলানা আব্দুর রহমান সাইফ বলেন, নামাজ হচ্ছে ইসলামের ফরয কাজ। জুতা ব্যবসায়ীরা নামাজের জন্য দোকান বন্ধ রেখে সকলকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ফরজ বিধান কিভাবে পালন করতে হয়।
জুতা ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন বলেন, নামাজের জন্য আমরা জুতা বিক্রি বন্ধ রেখেছি। আমরা অন্যান্য মুসলিম ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করবো। নামাজের সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জামায়াতের সহিত নামাজ আদায় করতে।