
কাইয়ুম মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে নাজমা খাতুন নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারপিটের অভিযোগে থানা বিএনপি নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে আহত নারীর মা সলঙ্গা থানার চৌধুরী ঘুঘাট গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের স্ত্রী মোছা. শিরিয়া খাতুন বাদী হয়ে সলঙ্গা থানা আমলী আদালতে পিটিশন দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে একই গ্রামের বাসিন্দা ও সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিমকে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইভীন আক্তার পিটিশিনটি আমলে নিয়ে ওসি সলঙ্গা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর অভিযোগে জানা যায়, প্রতিবেশী বিএনপি নেতা আব্দুল আলিমের সম্বন্ধির ছেলে। হারুন বাদী শিরিয়া খাতুনের প্রতিবেশী। চৌহালী উপজেলার একটি জমি নিয়ে হারুনের সঙ্গে শিরিয়ার বিরোধ ছিল। গত ২০ মার্চ হারুনের দায়ের করা মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত। মামলাটি খারিজ হওয়ার পর থেকে আব্দুল আলিম ও হারুন গং ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে।
এ অবস্থায় গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সকল আসামীগন বাদীনীর সম্পত্তি দখলের জন্য যায়। এ সময় তার আট মাসের অন্তস্বত্তা মেয়ে নাজমা খাতুন এগিয়ে গেলে আব্দুল আলীম মাথার চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেয়। হারুনসহ অন্যান্য আসামিরা তাকে মারধোর করে গুরুতর আহত করে। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহত নাজমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। নাজমা বর্তমানে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাঁর পেটের শিশু সন্তান নিয়ে আশংকা আছে।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম বলেন, হারুন আমার দুঃসম্পর্কের আত্মীয় এটা ঠিক। কোথায় কখন মারপিটের ঘটনা ঘটেছে আমি জানি না। আমি ১৫ দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছি। আমার প্রতিপক্ষ কোনদিক দিয়ে না পেরে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে।