শনিবার, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সলঙ্গায় নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার চক মনোহরপুর একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযোগ ও মামলা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ফরহাদ আলী ও সভাপতি রবি ঠাকুরের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ পাহাড় সমান অভিযোগ।

অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চক মনোহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি চতুর্থ শ্রেনী পদের চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

গত ৫/০১/২০২৪ ইং তারিখে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন। এতে চাকরি প্রত্যাশীরা নিরাপত্তাকর্মী পদে আবেদন করেন।

পরবর্তীতে প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে ২৪/৫/২০২৪ ইং তারিখে আবারো পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রাধান করেন। দ্বিতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সভাপতির নাম ও প্রচারের তারিখ হইতে আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ দিন ব্যবধান রাখে নাই। প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পর ৬ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নিয়ম থাকলেও তা না করেই ২য় বিজ্ঞপ্তি কয়েকদিন পর ( ১৭/০৭/২০৪) ইং তারিখে লিখিত পরিক্ষার দিন ধার্য করে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন করেন।

চাকরি প্রত্যাশী চক মনহরপুর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ আজিজুল হাকিম ১৫ /৭/২০২৪ ইং তারিখে রায়গঞ্জ থানা সহকারী জজ আদালতে মামলা ও ১৬/৭/২০২৪ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ প্রেরণ করেন। পরদিনই আব্দুল হাকিম জানতে পারে স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে।

এ বিষয়ে আব্দুল হাকিম জানান, প্রথম ৫ জানুয়ারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করলে আমি পুনরায় আবারো ২য় বিজ্ঞপ্তি আবেদন করি। কিন্তু পরিক্ষার আগের দিনই প্রবেশপত্র হাতে পায়। আমি জানতে পারি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তাদের পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে। আমি সাথে সাথেই উপজেলায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাই। তা সত্বেও নিয়োগ পরিক্ষা হয়। আমি মামলা ও করেছি সিরাজগঞ্জ আদালতে। আমি এই নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে যোগ্য পার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করছি।

প্রধান শিক্ষক ফরহাদ আলী জানান, নিয়মের বাইরে কোন কাজ হয়নি। আব্দুল হাকিম প্রবেশপত্র উত্তোলন করেছিলো কিন্তু পরিক্ষা দেয়নি। টাকা লেনদেনের বিষয়ে কথা বললে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।

সভাপতি রবি ঠাকুর জানান, আমি কিছু বলতে পারব না। প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করুন।

রায়গঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ