
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ভারতীয় একটি অশ্লীল ভিডিও ডাউনলোড করে স্থানীয় এক সাংবাদিকের ছবি জুড়ে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাতক্ষীরায় পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর থানায় এজাহারভুক্ত এই মামলাটি গ্রহণ করা হয়। মামলার প্রধান অভিযুক্তরা হলেন- পাটকেলঘাটার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আল-আমিন সরদার, শহরের পলাশপোল এলাকার রিনা খাতুন এবং কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামের কামরুল হাসান। এছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, একটি ভারতীয় অশ্লীল সাইট থেকে অস্পষ্ট একটি ভিডিও সংগ্রহ করে সেটিতে এক সাংবাদিকের ছবি এডিট করে সংযোজন করে একটি চক্র। এরপর ভিডিওটি ওই সাংবাদিকের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। সাংবাদিক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভিডিওটি বিভিন্ন নামে-বেনামে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা সাইবার এলার্ট টিমের পরিচালক মাহবুব রহমান জানান, “ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে সাংবাদিকের কোনো মিল নেই। গুগল রিভার্স ইমেজ ও সেন্স সার্চ প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ভিডিওটি ভারতীয় একটি অশ্লীল সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে একটি সাজানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত।”
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, “৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় থাকা এক সৎ ও সাহসী সাংবাদিককে অপমান ও হেয় করতে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আমি অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় জেলার সাংবাদিক সমাজ রাজপথে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।”
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক বলেন, “মামলাটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও চাঁদাবাজি আইনে রুজু করা হয়েছে। তিনজন এজাহার নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”