নুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চকদাতেয়া দক্ষিণপাড়া কমিউনিটি বিদ্যালয়ে ২ জন্য সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া নিয়োগের মাধ্যমে চাকরি করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।
জানা গেছে, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চকদাতেয়া দক্ষিনপাড়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল করিম ২০০৭/২০০৮ সালে অতি গোপনে একক সিদ্ধান্তে একটি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি, টিও, এটিও এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ২ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন।
নিয়োগকৃত একজন তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন অন্যজন তার শ্যালকের স্ত্রী পারভীন আক্তার। বিষয়টি নিয়ে বিগত ২৯/৭/২০১২ ইং তারিখে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির বিদুৎসাহী সদস্য মো. বাবলু মিয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারণে আজও তার প্রতিকার মেলেনি।
এছাড়াও উক্ত বিদ্যালয়ের সুচতুর প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল করিম বিদ্যালয়টিকে যেন গৃহস্থালি ভবনে পরিণত করেছেন। বিদ্যালয়ে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে রাতদিন ধান সিদ্ধ-শুকানোর জন্য ছাদ ও শ্রেণিকক্ষ ব্যবহার করে আসছেন।
মাঠে পলের ঢিপি ও নানা অপকর্মের দায়ে গত ২৪ অক্টোবর সাঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাকে ‘শোকজ’ করেছেন। কারণ দর্শানো নোটিশে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে কেন তিনি বিদ্যালয়টিতে এহেন অপকর্ম করে আসছেন তার জবাব চাওয়া হয়েছে।
এলাকার সচেতন মহল দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক ফজলুল করিম কর্তৃক ভুয়া নিয়োগসহ যাবতীয় দুর্নীতি সরেজমিন তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।