
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সামেক) শনিবার বিকেলে প্রথমবারের মতো অত্যন্ত জটিল স্পাইন সার্জারি বা মেরুদণ্ডের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা বিভাগের কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এর আগে এত বড় মেরুদণ্ডের অপারেশন হয়নি বলে জানিয়েছেন সামেক কর্তৃপক্ষ।
অপারেশনটির নেতৃত্ব দেন খুলনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (স্পাইন সার্জারি) ডাঃ মো. মাহমুদুল হাসান (পলাশ)। যিনি বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে সংযুক্ত রয়েছেন।
অপারেশন শেষে রোগী আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত।
তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে পড়ে গিয়ে আমার মেরুদণ্ডের একটি হাড় ভেঙে যায় এবং আরেকটি হাড়ের ভেতরে ছিদ্র হয়ে যায়। তখন মনে হয়েছিল হয়তো আর স্বাভাবিকভাবে চলতে পারব না। কিন্তু সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ আমার অসুস্থতার খবর পেয়ে এগিয়ে আসে। আল্লাহর রহমতে এবং ডাক্তারদের আন্তরিক চেষ্টায় আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। এটি সাতক্ষীরার মানুষের জন্য আশার আলো।”
ডাঃ মাহমুদুল হাসান (পলাশ) জানান, সকাল ১০টা থেকে টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে অপারেশনটি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, “সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি আমাকে এই কাজ করার সামর্থ্য দিয়েছেন। এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডাঃ মোঃ রুহুল কুদ্দুছ, হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ কুদরত ই খুদা এবং অর্থোপেডিক্স বিভাগের প্রধানের আন্তরিক সহযোগিতা ও উৎসাহের কারণে।”
ঝুঁকিপূর্ণ এই অপারেশনে অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ডাঃ মুক্তাদির তামিম। এছাড়া মেডিকেলের অন্যান্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকরাও সহযোগিতা করেছেন।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ কুদরত ই-খুদা বলেন, “এ সাফল্য শুধু একজন রোগীর জীবনই বাঁচায়নি, বরং সাতক্ষীরার চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন আশার সঞ্চার করেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, খুলনা বিভাগের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো জটিল রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দিতে সক্ষম।”