আমিনুল হক, শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ): ন্যায্য মূল্যের ১৫ টাকা কেজি টাকা দরের চাল দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ না করে শ্যালো নৌকা যোগে পাচারের সময় ২৪ বস্তা চাল আটক করেছে গ্রামবাসী। এসময় তারা নৌকার মাঝিসহ ৪ জনকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল সোনাতনী ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজার সংলগ্ন যমুনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
নৌকার মাঝি ও আটককৃতদের কাছ থেকে জানা যায়, স্থানীয় ধীতপুর গ্রামের বহুত আলী মন্ডলের ছেলে ও ইউপি সদস্য ভোগল মন্ডলের ভাই টিপু মন্ডল (৩২) ন্যায্যমূল্যের চালের ডিলার। তিনি দরিদ্রদের মাঝে চাল বিক্রি না করে প্রায় ৩০ মণ চাল ২৪টি বড় বস্তায় ভরে রাতের অন্ধকারে যমুনা নদীতে শ্যালো নৌকা যোগে বেড়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
বিষয়টি গ্রামবাসী বুঝতে পেরে সাবেক ইউপি সদস্য রবিউল ফকিরের নেতৃত্বে অন্য একটি শ্যালো নৌকা নিয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে আটক করে শ্রীপুর ঘাটে নিয়ে আসে।
পরদিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমানসহ পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পরে খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটককৃত চাল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, টিপু মন্ডল তার ইউপি সদস্য ভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে দরিদ্রদের মাঝে চাল বিক্রি না করে কালো বাজারে বিক্রি করে থাকে। গতবছর ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক তার কাছ থেকে ৫৪ বস্তা চাল কিনে পাচারের সময় জনগণ আটক করে। এসময় তারা টিপু মন্ডলের ডিলারশিপ বাতিল করে যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান।
এই বিষয়ে সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান বলেন, দরিদ্রদের জন্য ন্যায্যমূল্যের চাল কালোবাজারে বিক্রি হবে এটা মেনে নেয়া যায় না। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এই বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আলাওল কবির জানান, বিষয়টি আমি জানার পর সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারের সাথে কথা বলেছি। সোমবার ট্যাগ অফিসার ডিলারের মজুদ পরিক্ষা করে চালের বস্তাগুলো সঠিক সংখ্যায় না পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।