
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের হয়রানি, রেজুলেশন ও কমিটিবিহীন ফিডার স্কুলের কার্যক্রম, নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রি, নিয়ম বর্হিভূত পরীক্ষা গ্রহণ ও অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তি, মনগড়া মাসিক বেতন বৃদ্ধি, স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রভাব খাটানো, প্রশংসাপত্রে নির্ধারিত অর্থ নির্ধারণ ও অসৎ উদ্দেশ্যে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন, ছাত্রীনিবাস অবৈধভাবে দখল, টিফিনে নিম্নমানের অস্বাস্থ্যকর খাবার বিতরণ, মাঠের জলাধার পরিবর্তন, আইসিটি ল্যাব থেকে এসি স্থানান্তর ও আইডি কার্ডে অনিয়মসহ ডজন খানেক অভিযোগ উঠেছে জেলা শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সিরাজগঞ্জ সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফছার আলীর বিরুদ্ধে।
এছাড়াও তিনি সরকার পতন ছাত্র বিরোধী আন্দোলন নস্যাৎ করতে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ও দুর্ণীতিমুক্ত করতে প্রধান শিক্ষকের দ্রুত অপসারণ কামনা করছেন ছাত্রী ও অভিভাবকগণ।
অফিস সূত্রে জানা যায়, সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্য (সদর-কামারখন্দ) ড. জান্নাত আরা হেনরীর নির্দেশে প্রধান শিক্ষক আফছার আলীর স্বাক্ষরে একটি চিঠিতে সকল সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ডেকে মিটিং করে ছাত্র আন্দোলন বন্ধ করার নীলনকশা একেঁছিল।
অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগের ১৫টি চিত্র তুলে ধরে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত পিপলস নিউজ ২৪ এ চলতি বছরে ৯ সেপ্টেম্বর দুটি সংবাদ প্রকাশ হয়। বাংলাদেশের একমাত্র সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা পরিবর্তন ও পরীক্ষা অসমাপ্ত রেখে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের জেরে আদালত কর্তৃক শাস্তি স্বরুপ পাঁচ বছর এ কারণে অবনমন করা হয়।
চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পক্ষ সন্তানের পরীক্ষার সময় অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে রোস্টার তৈরী করনে সহযোগিতা করা হয়েছে। টিফিন ফান্ডে তছরুপ, মেয়াদ ও অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন। অসৎ উপায়ে ছাত্রীদের শাস্তি স্বরুপ ক্লাশ রুমের জানালা বন্ধ করন। ১১৩ ও ১১৬ নম্বর ক্লাশ রুমে অতিরিক্ত গরম ও বাতাসের অভাবে ছাত্রীরা অসুস্থ। নাম্বার টেম্পারিং করে স্বেচ্ছাচারিতা। আইন লঙ্গন করে পুকুর ভরাটের নামে অর্ধকোটি টাকা লোপাট। নিজে আওয়ামী সমর্থিত হওয়া সত্ত্বেও জামায়াত-শিবির পরিচয় দিয়ে শিক্ষকদের হুমকি। বছরে অতিরিক্ত ভর্তি বাণিজ্য। বিধিবর্হিভূত ও অবৈধভাবে এসি স্থানান্তর। মেধাবী ও গরীব শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত ছাত্রীনিবাস অবৈধভাবে দখল। রাতের অন্ধকারে প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রিসহ সরঞ্জমাদি ও শিক্ষক অভিভাবক ছাত্রীদের মাঝে বিভাজন তৈরীর নানান পন্থা অবলম্বন করে থাকেন বলে একাধিকসূত্রে জানা গেছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফছার আলীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।