বৃহস্পতিবার, ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সীমান্তে আর কোনো লাশ দেখতে চাই না: সারজিস আলম

কচাকাটা (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয় সারজিস আলম বলেছেন, সীমান্তে আর কোনো লাশ দেখতে চাই না। আর যদি আমার কোনো ভাই বা বোনের লাশ আমাদের ওই সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকে তাহলে কাঁটাতারকে লক্ষ্য করে আজকের ‘মার্চ ফর ফেলানী’র মত লং মার্চ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামে শহরে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার পর নাগেশ্বরীর নাখারগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১১ টায় জেলা শহরের কলেজ মোড় থেকে লং মার্চটি শুরু হয়। শেষ হয় কুড়িগ্রামের নাগশ্বরী উপজেলা রামখানা ইউনিয়নের নাখারগঞ্জ গ্রামে ফেলানীর বাড়িতে।

সারজিস আলম বলেন, আমরা স্পষ্ট করে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশকে একটি কথাই বলতে চাই, এই যে সীমান্ত হত্যা, কাঁটাতার দেয়ার নামে জোর করে বাধা দেয়ার যে প্রয়াস তা রুখে দেয়ার জন্য নতুন করে যে অভ্যুত্থান হয়েছে তার স্ফুলিঙ্গ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়া হবে।

তিনি বলেন, কুড়িগ্রামে মার্চ ফর ফেলানী থেকে বলতে চাই আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে কোন মরদেহ দেখতে চাই না। বাংলাদেশের যত নাগরিককে সীমান্তে লাশ করা হয়েছে তার বিচার আর্ন্তজাতিক আদালতে করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রজনতা আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে সেই ছাত্র জনতা নতজানু পররাষ্ট্র নীতি মেনে নেবে না। আগামীতে বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা যদি ক্ষমতা আকড়ে ধরার জন্য কোন দেশের দালাল হোন তাহলে তাদের পরিণতি খুনি হাসিনার মতো হবে।’

লং মার্চের শুরুতে ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে সকল নাগরিক হত্যার বিচার, সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্র বন্ধ, শহীদ ফেলানীর নামে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের নামকরণ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিল করে সাম্যের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ ও কুড়িগ্রামের চরের জীবন জীবিকা উন্নয়নে নদী সংস্কারের ৫ দফা দাবি জানান সারজিস আলম।

এসময় উপস্থিত থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ড. আতিক মুজাহিদ বলেন, ছাত্রজনতা আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে সেই ছাত্র-জনতা নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মেনে নেবে না। আগামীতে বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা যদি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য কোনো দেশের দালাল হয় তাহলে তাদের পরিণতি শেখ হাসিনার মতো হবে।’

নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশকে একটি কথাই বলতে চাই, এই যে সীমান্ত হত্যা, তারকাঁটা দেওয়ার নামে জোর করে বাধা দেওয়ার জন্য যে প্রয়াস তা রুখে দেওয়ার জন্য নতুন করে যে অভ্যুথান হয়েছে এই অভ্যুথানের স্ফুলিং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দফতর সম্পাদক জাহিদ আহসান, সমন্বয়ক রকিব মাসুদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়াও লং মার্চে ফেলানীর বাবা নুর ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ