নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করেছে ‘বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সুপ্রিম কোর্টে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট লায়েকুজ্জামান মোল্লা। বিশেষ অতিথি হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুন নূর দুলাল উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট লায়েকুজ্জামান মোল্লা বলেন, শেখ হাসিনার দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বের কারনেই তিনি এখন জননেত্রী থেকে বিশ্ব নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। দুঃখী মানুষের মুখে কিভাবে হাসি ফুটানো যায় সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। কিন্তু ‘সেই পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামাত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা যায়, কিন্তু প্রতিরোধ করা যায় না।’
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলরা লাশের রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু বাংলার মাটিতে আর হত্যাযজ্ঞ চলতে দেয়া হবে না। ষড়যন্ত্র হলে জনগণকে সাথে নিয়ে সেই খুনিদের রুখে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জন্মেছিলেন বলেই বাঙালি জাতির মুক্তির শৃঙ্খল উজ্জীবিত হয়েছে এবং প্রায় দেড় দশকে বাংলাদেশ প্রগতি ও উন্নতির ধারায় পদে-পদে এগিয়ে গৌরবের ইতিহাস রচনা করেছে। শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যাবে। আগামী দিনেও তিনি এভাবে যেনো দেশের জন্য কাজ করতে পারেন আমরা সেই প্রার্থনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বেই ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো, ইনশাআল্লাহ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুন নূর দুলাল বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে যদি জানতে চান তাহলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে যদি জানতে চান তাহলে বাংলাদেশকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু যদি জীবিত থাকতেন তাহলে বাংলাদেশকে আরও আগেই উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতেন। শেখ হাসিনার মত যোগ্য ও দক্ষ প্রধানমন্ত্রী যে দেশে আছে সে দেশ উন্নত না হয়ে পারে না। এখনই সময়, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। সময় এসেছে আমাদের আবারও ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬৯ ও ১৯৭১ এর মতো একতাবদ্ধ হয়ে হিংস্র শকুনের দলকে রুখে দেওয়ার। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই, সব দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে চায় প্রধানমন্ত্রী। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিতে দিনরাত যে কাজ করছেন সেই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা জন্মেছিলেন বলেই বাঙালি আঁধারেও বোধের দ্বিপশিখাকে জ্বাজ্জল্যমান প্রদীপ রূপে লালন করার সাহস পায়। যাকে মোট ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করে আজ হন্তারক গোষ্ঠী বিশ্রামের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু নির্ভিক শেখ হাসিনা উন্নয়নের সোপান বেয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের স্বপ্নের সিড়ির দিকে দুর্দন্ড-প্রতাপে ধাবিত হয়। শেখ হাসিনা তার সংগ্রামী পথচলায় একটি জাতিকে সঠিক দিশা দিয়েছেন। অমানিশার অন্ধকার থেকে আলোর পথে আমাদের অভিমুখ ঠিক করেছেন। তাঁর জন্মদিনে আমাদের প্রত্যয় হোক অসাম্প্রদায়িক-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আশু বাস্তবায়ন।
বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সেলিমুর রহমান (সেলিম) এর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা (মশিউর) এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওসার বিশেষ অতিথি ছিলেন।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য গাজী হাসান মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য রাজু আহমেদ, বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মায়মুনা খাতুন, সুমাইয়া তপু, দপ্তর সম্পাদক মো. আতাহার হোসেন, সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ও শাহবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন খান (রিয়াজ), ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক নাদিমুল ইসলাম প্রমুখ।
এতে অংশ নেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি ও সংগঠনের সেন্ট্রাল ল’ কলেজের সভাপতি মো. আবু তাহের (রিমন), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি ও সেন্ট্রাল ল’ কলেজের সাধারণ সম্পাদক কাজী মামুনুর রহমান (মাহিম), সেন্ট্রাল ল’ কলেজের সিনিয়র সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম (রকিব), সহ-সভাপতি কেএম ইমতিয়াজ মামুন, সংগঠনের বাংলাদেশ ল’ কলেজের সভাপতি শামিম ইমরুজ, সহ-সভাপতি সাকেরা খানম, ডেমরা ল’ কলেজের সভাপতি মায়মুনা খাতুন, গ্রীন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদীয়া আফরোজ, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জয়গোপাল শীল এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি প্রার্থী আশরাফুল আলম থিমু প্রমুখ।
এ সময় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাফিজ উদ্দিন। পরে মিলাদ মাহফিল শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দোয়া ও মোনাজাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের কেক কাটেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এসময় বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সেলিমুর রহমান (সেলিম) এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা (মশিউর) নেতৃত্বে এই কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, বিভিন্ন ল’ কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।