রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হাটহাজারীতে শিক্ষকের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

মো. এরশাদ আলী, হাটহাজারী: চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর জয়নুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুস সালামের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার দুপুরে মাদ্রাসা মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তারা বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি শিক্ষকতার পাশাপাশি মির্জাপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাধে এলাকায় রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি একজন শিক্ষক হলেও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষকতার মহান পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন। সমাজে রাজনৈতিক দ্বন্দ লাগিয়ে বিভিন্নজনকে হত্যা চেস্টা, মারধর করেছেন। তার মতের সাথে অমিল হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে মামলা মোকাদ্দমা করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন অনেককে। করেছেন বাড়ি ছাড়াও, তার অত্যাচারে জর্জরিত এলাকার নিরপরাধ অগণিত মানুষ। সে দলের প্রভাব খাটিয়ে এলাকা মসজিদ মাদ্রাসার চলমান কমিটি ভেঙে দিয়ে নিজেকে সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে তারমত পরিচালনা করতেন। থানার সাথে সখ্যতা থাকায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারত না। করলেও তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করতেন।

হত্যাচেষ্টা, মারধর ও জায়গা-জমির অবৈধ দখলের অভিযোগে তার নামে হাটহাজারী মডেল থানা ও আদালতে পাঁচটি মামলা বিদ্যমান।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতগুলো মামলার হাজিরা দিতে প্রায় সময় কর্মস্থলে অনুপুস্থিত থাকার পরেও সে কিভাবে শিক্ষকতা করেন।

বক্তব্য দিতে গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলেন, মামলার হাজিরার কারণে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকেন। এ কারণে শ্রেণীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তার কাছে কেউ প্রাইভেট না পড়লে তাকে ফেল করে দিতেন।

বক্তারা বলেন, দেশে আজ পরিবর্তন এসেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। তাই দুর্নীতিবাজ, মামলাবাজ, ভূমিদস্যু, শিক্ষকতার মহান পেশাকে কলঙ্কিত করা আব্দুস সালামকে চাকরিচ্যুত এবং আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। এদিকে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন মানববন্ধনকারীরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মো. আজম, মো. রুবেল, আক্কাছ, মো. ফজলসহ অনেকে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান যায়যায়দিনকে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তকে পাঠদানসহ সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ