মঙ্গলবার, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

হাবিপ্রবিতে ডিপ্লোমা কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা

আল জোবায়ের, স্টাফ রিপোর্টার: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকালিটির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে প্রকৌশল খাতে চলমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে একযোগে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকালিটির বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে নোটিশ আকারে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কোটা ও বিশেষ সুবিধার দাবির বিপক্ষে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৌশল পেশার মর্যাদা রক্ষায় তিন দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের ২৫তম ব্যাচ মিড পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (FPE) বিভাগের ২২তম ব্যাচ মিড পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং(AIE) বিভাগের ২৫তম ব্যাচ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ECE) বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকালিটির বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের মাধ্যমে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রকৌশল খাতে নিয়োগ ও পদোন্নতি শুধুমাত্র মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং একটি কারিগরি শিক্ষা, যা মূলত টেকনিশিয়ান তৈরির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি প্রকৌশলী হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা নয়। অথচ ডিপ্লোমা হোল্ডারদের প্রকৌশলী পদে নিয়োগ এবং নামের আগে “ইঞ্জিনিয়ার” শব্দ ব্যবহারের দাবি প্রকৌশল পেশার মৌলিক নীতির পরিপন্থী।

তাদের দাবি, সরকারি প্রকৌশলী (৯ম গ্রেড) পদে শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিতে হবে এবং ডিপ্লোমা হোল্ডারদের জন্য থাকা ৩৩.৩% কোটা বাতিল করতে হবে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) পদে ১০০% কোটা বাতিল করে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। আইনে স্পষ্ট করতে হবে যে, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে “ইঞ্জিনিয়ার” শব্দ ব্যবহার করতে পারবে না।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, পরীক্ষার উদ্দেশ্য কেবল জ্ঞান যাচাই নয়, বরং মানসিক স্বস্তি ও ন্যায্য পরিবেশ নিশ্চিত করা। বর্তমান নীতিমালা সে পরিবেশ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন—‘No B.Sc. Engineering Degree, No Engineer।’

শিক্ষার্থীরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, প্রকৌশল খাতে সব ধরনের কোটার ব্যবস্থা বাতিল করে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদবী ব্যবহারের নিয়ম প্রণয়ন করা হোক। তাদের মতে, এটি প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত করবে এবং দেশের প্রকৌশল ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও ন্যায্য করে তুলবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ