শুক্রবার, ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

আগাম শীতে কম দামে গরম পোশাক

মাসুদ রানা, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: গত এক সপ্তাহ ধরে দিনাজপুরের খানসামায় পড়ছে শীত। দিনে প্রখর রোদ থাকলেও রাত হওয়ার সাথে সাথে বইছে ঠান্ডা মৃদু বাতাস। ভোর বেলা পড়ছে হালকা কুয়াশা। সকাল বেলা হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। হু হু করে বয়ে যাওয়া ঠান্ডা বাতাসে ভীষন কষ্টে এলাকার মানুষ। যদিও পূর্ন শীত এখনো আসেনি কিন্তু উত্তরবঙ্গে আগাম শীত পরার কারণে কষ্ট পোহাচ্ছে উপজেলাবাসী। সবচাইতে বেশি সমস্যার পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূলরা। গরম পোশাকের অভাবে কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে তাদের।

শীত নিবারণে উপজেলাবাসী ছুটছেন গরম পোশাকের দোকানে। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে কিনছেন শীতের পোশাক। কিন্তু বিত্তবানরা দামী পোশাক কিনলেও সাধারণ খেটে খাওয়া ব্যক্তিরা গরম কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতে। হতদরিদ্রের সাধ্যের মধ্যে মাত্র ৮০ থেকে ১০০ টাকাতে এসব ফুটপাতে মিলছে গরম কাপড়। যে দামের মধ্যে শুয়েটার, মোটা শার্ট, টুপি, মাফলার, চিকন জ্যাকেট ও ফুলহাতা গেঞ্জি। এমন সস্তায় শীতের পোশাক পেয়ে খুশি এসব ক্রেতারা। তবে ৫০০ থেকে ৩২০০ টাকার মধ্যে মানসম্মত অনেক ধরণের পোশাক ফুটপাতে বিক্রি করা হচ্ছে বলে দাবি দোকানীর।

এসব পোশাক কতটুকু স্বাস্থ্য সম্মত তা অনুমান করলেই বোঝা যায়। কিন্তু নিম্ন আয়ের দিনমজুররা স্বাস্থের বিষয়টি না ভেবেই তা ব্যবহার করছেন। এতে করে চর্ম রোগ হতে পারে বলেও ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যে কারণে এসব পোশাক পরিধানের পূর্বে পানিতে জীবাণুনাশক এন্টিসেফটিক ব্যবহার করে তা ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা।

খানসামা উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে ফুটপাতের এসব দোকানিরা ক্রেতার ভিড় জমাতে দাম হাকছেন ‘মাত্র আশি, আশি বলে।’ এ কারণেই শুধু নিম্ন আয়েরই নয়, ফুটপাতের এসব পোষাকের দোকানে ভিড় করছেন কৌতুহলী বিভিন্ন শ্রেণির পথচারীরাও। তবে কেউ কেউ আবার সেখান থেকে বেছে কিনছেন পছন্দের পোশাক।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে খানসামা উপজেলা পরিষদের মেইন গেটে ফুটপাত থেকে ক্রয় করা ইউনুজ বলেন, আমি দুটি মোটা শার্ট কিনেছি ২৫০ টাকায়। এর থেকে আর কম দামে কি পাওয়া যায়।

আরেক ক্রেতা নয়ন বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। এদের ডাক হাঁকে দাঁড়ালাম। একটি শার্ট পছন্দ হওয়ায় কিনেও ফেললাম।’

দোকানদার আবুল বলেন, ‘শীতের এসব পোশাক লট ধরে কেনা। গড় হিসেবে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখেই বিক্রি করছি। এখন পুরো শীত না আসায় বেচা কেন কম। তবে সারাদিনে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাভ হয়। এখানে সাধারণত গরীবরাই বেশী আসে।এদিকে, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার গরম পোশাকের দোকানে ভিড় বেড়েছে। যদিও এখন অনেক দোকান বসেনি। ছেলেরা মোটা শার্ট, জ্যাকেট ও শুয়েটার কিনছে। তবে অভিজাত দোকানের থেকে এলাকার ফুটপাতের দোকানে ভিড় বেশি হচ্ছে। সাধ ও সাধ্যের এসব ফুটপাতের দোকান থেকে পোশাক কিনছেন মানুষ। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার শীতের পোষাকের দাম বেশি বলেও অভিযোগ ক্রেতাদের।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *