
১৯৯৬ সনে গিয়েছিলাম জীবনে প্রথমবার তাজমহল দেখতে। প্রথম দর্শনের সেই স্মৃতিটা এখনও মনে উজ্জ্বল হয়ে আছে। ট্রেনে দিল্লী, এরপর ২/৩ দিন পর বাসে আজমীর শরীফ, জয়পুর, আগ্রা – কী উৎসুক অপেক্ষা ! রাতে হোটেল তাজ-এ থেকে সকালে তাজমহলে ঢুকে চোখ ঝলসে গেল- এত এত সুন্দর মোহনীয় রূপ ! অন্বেষা সহ আমরা দু’জন দীর্ঘ সময় কাটালাম।
আর এবার দীর্ঘ আঠাশ বছর পর মনের টানে ১২ মার্চ আবার গেলাম তাজমহল দর্শনে। দিল্লী থেকে গাড়ি নিয়ে এক্সপ্রেস ওয়ে দিয়ে। পুরোটা পথ চমৎকার ফুলে ফুলে সাজানো দুই পাশ। রাস্তা এতটাই মসৃন মনেই হয় না গাড়িতে আছি। কিন্তু আমার দেখা তাজমহলকে খুঁজে পেলাম না। ২০০১, ২০১৫তে দুইবার তাজমহল পলিউশনের কারণে ঘসামাজা হয়েছে।মনে হলো পাথরের যে শ্বেত শুভ্র রূপ তার কিছুটা কমে গেছে। তবে চারিদিকে সুন্দর নির্মল প্রকৃতি ,মোগল স্থাপত্য আগের মতই মনোমুগ্ধকর।এখনও সম্রাট শাহজাহান স্ত্রী’র সমাধিতে সৌধ গড়ে প্রেমের প্রতীক হয়ে আছেন। শেষ জীবন তাঁর আগ্রা ফোর্টে বন্দী জীবনে তাজমহল দেখেই সময় কাটত।