কেফায়েতুল্লাহ কায়সার, চট্টগ্রাম ব্যুরো: ড্রাগনফল এক সময় বাংলাদেশের জন্য দুর্লভ ফল হলেও এখন পাওয়া যাচ্ছে হাতের নাগালে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় উৎপাদন হচ্ছে হাজার টন ড্রাগন। সবুজাভ এক বিস্তৃত এলাকাজুড়ে সারি সারি প্রায় পঞ্চাশ হাজার ড্রাগন গাছের এক অপূর্ব নাসির এগ্রো জোন।
বাগানের স্বত্বাধিকারি নাসির উদ্দিন বলেন, ড্রাগন বাংলাদেশে এখন একটি পরিচিত ফল। সারা বছরই বাংলাদেশে এখন ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। একটা সময় এই ফল বাইরে থেকে আসত । এখন দেশেই চাষ হয়। এই ফলের উপকারিতা অনেক। ড্রাগন ফলে রয়েছে আঁশজাতীয় উপাদান, যা আমাদের হজমে সাহায্য করে। দীর্ঘ সময় পেট ভরে রাখে। ফলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পরিণামে কমে যায় রক্তের বাড়তি চিনি। নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস। এমনি আরও অনেক গুণাগুণ ড্রাগন ফলে রয়েছে।
ড্রাগন রক্তের ক্ষতিকারক চর্বির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে রয়েছে নিম্নমাত্রার ক্যালরি। অতি মাত্রায় ওজন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে এই ফল খেতে পারেন।
দাঁত, হাড়, চুল, নখ মজবুত করার জন্য আয়রন, ক্যালসিয়াম ও খনিজ লবণের দরকার। ড্রাগন ফলে এই খাদ্য উপাদানগুলো রয়েছে উচ্চ মাত্রায়।
আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য আয়রন অপরিহার্য। ড্রাগন ফলে উচ্চমাত্রায় আয়রন রয়েছে। বাড়ন্ত শিশু–কিশোর, অন্তঃসত্ত্বা নারী, মাতৃদুগ্ধদানকালে, জটিল কোনো অপারেশনের পরে আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হয়। ড্রাগন ফলের আয়রন এই ঘাটতি পূরণ করে। এই ফলে রয়েছে আরো নানান উপকার। মাত্র ১৫০ টাকায় ফর্মালিনমুক্ত প্রাকৃতিক ড্রাগন চট্টগ্রামবাসীর চাহিদা পূরণ করবে।