শুক্রবার, ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জয়পুরহাটে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নিরেন দাস, জয়পুুরহাট প্রতিনিধি: মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগে সাবেক স্ত্রী সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট মডেল প্রেস ক্লাবে বুধবার (১৭ আগষ্ট) এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ভুক্তভোগী। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী আঃ রাজ্জাক বলেন, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা সদরে ব্যবসার সুবাদে  গত ০৩ নভেম্বর ২০১৬ সালে  পারিবারিক ভাবে আহম্মেদাবাদ বোড়াই গ্রামের শফিকুলের মেয়ে সুমি আক্তারকে দুই লক্ষ্য টাকা কাবিন মূলে বিয়ে করি।

বিয়ের পর সে কোন দিন স্বামীর বাড়িতে আসেন নাই। স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গরা সমজতার জন্য প্রস্তাপ দিলে সুমি ও তার মামা আলী আনসারের দাবি তাদের মেয়ে খুতা হইছে র্মমে তিন লক্ষ্য পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টম্বর তাদের নিজ বাড়িতে  নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে নারী ও শিশু  নির্যাতন ও যৌতুক আইনে একটি মিথ্যা পিটশন  মামলা করে। 

আমার বাবা মরন ব্যধি ক্যন্সার ও কিডনী রুগে আক্রন্ত ছিলেন। তাকেও এই মিথ্যা মামলায় জরানো হয়। এসব মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে আমার অসুস্থ বাবাকে ঠিকমতো চিকিৎসা করতে ও খাওয়াতে পারিনি। এমতাবস্থায় আমার বাবা ২০২২ সালের ২রা মার্চ মৃত্যু বরণ করেন।

উক্ত মামলায় তথ্য গোপন করা হয় এবং শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ হিসেবে জয়পুরহাট বন্ধন ক্লিনিক হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের একটি ব্যবস্থাপত্র উপস্থান করা হয়। মামলায় বেশ কিছুদিন ভোগান্তির পর ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি এ ধরনের কোনো ব্যবস্থাপত্র ইস্যুই করেননি। অর্থাৎ জালিয়াতির মাধ্যমে ওই ব্যবস্থাপত্র তৈরি করা হয়েছিল। সে একজন মামলাবাজ নারী৷ তিনি নিজেই বাদি হয়ে তিনটি মামলা করেছেন৷ 

দ্বায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সুমি আক্তার বগুড়া আজিজুল হক কলেজের২০১৮/১৯ শিক্ষা বর্ষের কথিত ছাত্রী সে তথ্য প্রযুক্তি আইনে ৮(২) ধারায় পর্নোগ্রাফি মামলায় দীর্ঘদিন বগুড়া জেলা কারাগারে ছিলো।

স্বামী স্ত্রী  থাকা অবস্থায় সুমি আক্তার পরকীয়া প্রেমের আসক্ত ছিল। দীর্ঘ পাঁচ বছর মামলা চলার পরে শুনানী অন্তে বিঙ্গ আদালত আমাকে  ১৬/২/২০২১ ইং তারিখে আমাকে বেখসুল খালাস প্রদান করেন।

এসকল মিথ্যা মামলার কারনে আমার যথেষ্ট মান সম্মান  ক্ষুন্ন হয়েছে এবং উক্ত কারনে আমি সরকারী ও বেসরকারী কোম্পানি চাকুরীতে সুযোগ হারিয়েছি এবং আমার স্থায়ী ব্যবসা যাহা সে ৩য় পক্ষের দ্বারা যবর দখল করিলে আমি কর্মহীন হয়ে পড়ি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশিল৷ সম্পদ বলতে আমার কিছুই নেই৷ উভয় পক্ষে শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে গত ৮/১/২০ সালে ১৩৬ হলফ নামায় তিনসো টাকার ননজুডিশিয়াল ট্যম্পে  ৬ নং দফায় দেনমহর সহ খোরপ বুঝুিয়ে  দিয়ে সমঝতা করা হয় যা দৈনিক চাদনিবাজার প্রত্রিকার প্রকাশ হয়েছে  অন্যায় ভাবে লাভের আসায় মামলা চলমান রেখে হয়রানী করা হচ্ছে৷ 

স্ত্রী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেকেই প্রান হারিয়েছে স্যোসাল মিডিয়া তার স্বাক্ষী৷ কোন পুরুষ নির্যাতিত হলে তারও আইনি সুরক্ষা থাকা উচিত, দুঃখজনক হলেও সত্য নারীর সুরক্ষার জন্য আইনগুলো তৈরি হলেও বর্তমানে এ আইনগুলোকে কিছু নারী পুরুষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

সামান্য কিছুতেই স্বার্থন্বেষী কিছু নারী স্বামীদের নাজেহাল করতে এসব আইনের অপপ্রয়োগ করছেন। অন্যদিকে দেশে ‘পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ’ আইন এখনও সৃষ্টি হয়নি। এসব কারণে আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আমরা পুরুষ।আমি সারা বাংলাদের নির্যাতিত পুরুষের জন্য আইন চাই এই আইন বলবত হলে মিথ্যা মামলা করতে কেউ সহস পাবে না। 

আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইন মন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং ন্যায়বিচার চেয়ে আমার নামীয় সকল মিথ্যা মামলার পুনঃতদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

আমি এসব হয়রানী ও মানহানির পাল্টা মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি এবং খুব শীঘ্রই বিজ্ঞ  আদালতের দারস্থ হবো৷  

এবিষয়ে জান্তে চাইলে সুমি আক্তার বলেন মামলায় হারজিত থাকতেই পারে আমাকে হয়রানীর করার উদ্দেশ্য  কেউ সংবাদ সম্মেলন করতে পারে৷ রাজ্জাকের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই৷ 

যায়যায়কাল/১৮আগস্ট২০২২/কেএম

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *