
আবু শামা, কুবি প্রতিনিধি: “নোনা জলের সন্তাপে ভাসে এক পৃথিবীর স্নেহকোল, দূর প্রান্তরে জানি জাগবেই আবার জীবনের কল্লোল” -এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ডিবেটিং সোসাইটি কতৃক আয়োজিত ত্রয়োদশ জাতীয় বিজ্ঞান বির্তক উৎসব ২০২২ রানার্সআপ হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ বির্তক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হল ডিবেটিং সোসাইটি।
বির্তকের বিষয় ছিল ”খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন আগামীর বিশ্বের সংকট নয়, জলবায়ু পরিবর্তন সংকট প্রধান সংকট।” শীর্ষক এ বির্তক প্রতিযোগিতায় সরকারী দলে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। এতে আহমদ উল্ল্যাহ রাফি প্রধানমন্ত্রী, ফাতেমা তুজ জোহুরা মীম মন্ত্রী এবং সামিউল ইসলাম জিসান সংসদ সদস্য হিসেবে বির্তকে অংশগ্রহণ করেন।
রানার্সআপ হওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে বির্তার্কিক ফাতেমা তুজ জোহুরা মীম বলেন,আমি অনুভূতির ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, কুবির ডিবেটিং সোসাইটির এই প্রথম জাতীয় পর্যায়ে কোন ট্রপি।খুশিতে আমি আত্মহারা। আমরা ছত্রিশটি দলকে হারিয়ে ফাইনালে রানার্সআপ হয়েছি। সামনে আমরা চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতবো ইনশাআল্লাহ।
কুমিল্লা ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আল নাইম বলেন, প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে রানার আপ হওয়ার আনন্দের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপ আছে। তবে এটা মাত্র শুরু। কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি বিতর্কের মাধ্যমে গৌরব বয়ে আনতে সবসময় কাজ করে যাবে। সকল সীমাবদ্ধতা ছাপিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।
বির্তক শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের হাতে পুরষ্কার তুলে দেয় অতিথিরা। এতে ফজলুল হক ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহ মোহাম্মদ মাসুম, চীফ অপারেটিং অফিসার শ্যামল কুমার শাহা, হল ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান, ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদির, ঢাবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি শেখ মুহাম্মদ আরমান, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদা আক্তার তমা।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, বিশ্বে দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে৷ কিন্তু সে হারে বাড়ছে না খাদ্য উৎপাদন৷ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ধরণের সমস্যা হয় সেটা অল্প সময়ে সমাধান করা কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার৷ এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা৷