বৃহস্পতিবার, ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ড্রাগন চাষে কুড়িগ্রামের খোরশেদের সাফল্য, নতুন উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা

আতিকুর রহমান, কুড়িগ্রাম উত্তর: শখের বশে শুরু করা ড্রাগন চাষ আজ বাণিজ্যিকভাবে সাফল্যের পথে নিয়ে গেছে কুড়িগ্রামের খোরশেদ আলমকে। বছরে লক্ষাধিক টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করে তিনি এখন জেলার উদ্যমী কৃষকদের মাঝে একজন সফল উদাহরণ হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন।

কুড়িগ্রামের পুরাতন হাসপাতালপাড়া গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম, যিনি নিজ উদ্যোগে ইউটিউব থেকে ড্রাগন চাষের কৌশল শিখে চাষাবাদ শুরু করেন। থাইল্যান্ডের এক ভ্রমণের সময় ড্রাগন ফলের বাগানে মুগ্ধ হয়ে সেখান থেকে ড্রাগন ফলের কাটিং নিয়ে এসে নিজের ছাদে প্রথম চারা রোপণ করেন। দেড় বছর পরে যখন প্রথম ফুল ও ফল আসতে শুরু করে, তখন তিনি ড্রাগন চাষের সম্ভাবনা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।

এরপর খোরশেদ বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩০টি ড্রাগনের চারা সংগ্রহ করে নিজের জমিতে রোপণ করেন। বর্তমানে তার ৫০ শতক জমিতে ২ হাজারেরও বেশি ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। তার চাষের প্রাথমিক বিনিয়োগ ছিল ২ লাখ টাকা, যা প্রতিটি চারায় প্রায় ১০০ টাকা ব্যয়ে হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী এই প্রজেক্ট থেকে তিনি ইতোমধ্যে লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন।

খোরশেদের এই সাফল্য কুড়িগ্রামের অন্যান্য কৃষকদের মাঝে নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা ছড়িয়েছে। অনেকেই এখন তার দেখাদেখি বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষে এগিয়ে আসছেন। ড্রাগন ফলের উচ্চ চাহিদা এবং লাভজনকতা কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।

খোরশেদের ড্রাগন চাষ শুধুমাত্র তার নিজের সাফল্যের গল্প নয়, এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যা কুড়িগ্রামের কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *