রবিবার, ৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঢাকা-১৮ আসনকে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেন খসরু চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরী বলেছেন, ঢাকা-১৮ আসনে সকল ধরনের চাঁদাবাজি, ফুটপাত দখল, অবৈধ স্থাপনা, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং এবং মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন, গণমাধ্যম, রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশনের আরও সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। আমার এলাকার সব ফুটপাতকে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করতে চাই। এজন্য স্থানীয় কাউন্সিলর এবং প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হয়ে আমাকে সহযোগিতা করার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।

খসরু চৌধুরী এমপি বলেন, রামজান মাসে ঢাকা-১৮ আসনের অন্তর্গত কোনো মার্কেট বা বাজারে, কারসাজি করে কোনো নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না। কেউ কোনো পণ্য অতিরিক্ত মজুদ করে, কিংবা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কেউ কারসাজি করলে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন মার্কেট কমিটিকে জবাবদিহিতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, উত্তরা, উত্তরখান এবং দক্ষিণখানসহ আমার সংসদীয় আসন ঢাকা-১৮ এর বিভিন্নস্থানে চলছে নিরব চাঁদাবাজি। ফুটপাত দখল করে দোকান বা ভ্যান বসিয়ে অনেকে চাদা তুলছেন। আবার কেউ ব্যস্ত রিকশা বা অটো থেকে চাদা তুলতে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই- এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজরা যে দলেরই হোক, তাদের প্রতিহত করতে হবে। এরইমধ্যে আমি এসব চাঁদাবাজি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে পুরোপুরিভাবে এসব চাঁদাবাজি বন্ধে আমি কাউন্সিলর এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। একইসাথে এই এলাকায় রেললাইনের পাশের সরকারি জমিতে কিংবা রাজউকের অনেক জায়গায় অবৈধ মার্কেট বা স্থাপনা করে দখল করে রেখেছে স্বার্থান্বেষী মহল। দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা জরুরী। এ বিষয়ে আমি রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতা ও দৃশ্যমান পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।

খসরু চৌধুরী বলেন, আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে ঢাকা-১৮ আসনের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামও আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। এরইমধ্যে অনেক রাস্তায় কাজ শুরু হয়েছে। তাই জনগণকে বলবো, একটু ধৈর্য ধরুন। দক্ষিণখান-উত্তরখানসহ এই এলাকার সব রাস্তাঘাটের উন্নয়নে, মেয়রের চিন্তা ও পরিকল্পনাকে আমি বাস্তবায়ন করবো।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নতুন আতংকের নাম কিশোর গ্যাং। কিছু গডফাদার এবং অসাধুচক্র এদেরকে মাদক বিক্রিসহ নিজেদের নানা স্বার্থে ব্যবহার করছে। কিশোর গ্যাং এর উৎপাতে অতিষ্ট সাধারণ জনগণ। তাই এদের প্রতিহত করতে হবে। এজন্য মাদক, সন্ত্রাস এবং কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরো জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষকরে এদের মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।ঙ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ