
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ থানার অন্তর্গত সেতাবগঞ্জ কলেজ রোড রেলঘন্টি এলাকায় দৈনিক যায়যায়কালের জেলা সংবাদদাতা খান মোঃ আঃ মজিদ এর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গত ৯ জুন সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিট নাগাদ একদল সন্ত্রাসী তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ওই সময় সংবাদকর্মী আঃ মজিদ একা ছিলেন। তখনই সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠি-সোটা নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করে এবং মাটিতে ফেলে দেয়। তিনি অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয় একজন ছাত্র-জনতা মোঃ ফয়সাল তাকে উদ্ধার করে সেতাবগঞ্জ রেলস্টেশনে নিয়ে যান।
থানায় খবর দেওয়া হলে বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হাসান সরকার ও সেকেন্ড অফিসার ওয়াসিম মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে ৭:৪৫ এ সাংবাদিক শামসুল আলমের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করলে আবারো তার উপর হামলা চালানো হয়। মাথায় গুরুতর আঘাত পেলে স্থানীয় সাংবাদিক শামসুল আলম সহ রফিক নামের এক ব্যক্তি তাকে বোচাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন হাসপাতালে বেড নং-৬ তে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাত ৮টা পর চিকিৎসক চলে গেলে রাত ১টার দিকে নার্স কিছু ইনজেকশন ও ওষুধ দেন। ব্যথা কিছুটা কমলে সকাল ১১টার দিকে তিনি ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
বাড়ি ফিরে দেখতে পান, তার ছোট তিন কন্যা সন্তান – দুটি বয়স ৪ বছর এবং একটি ৩ বছর, আর একমাত্র পুত্রের বয়স ১৪ বছর – বাবাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গুচ্ছগ্রাম আবাসন, ১ নং নাফানগর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার ইউপি সদস্য মোছাঃ মিরা কাশ্মীরি স্বামী আঃ আলিম , মোঃ আঃ মালেক ওরফে চৌধুরী পিতা মৃত মছির উদ্দিন , স্টেশন পাড়ার রাসেল খান পিতা আঃ মজিদ ও তার সহযোগীরা আবারও হামলার পরিকল্পনা করছে। এর আগে ২২ মে ২০২৫ তারিখে রাসেল খান, আলো আরজিনা বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জিআর মামলা নং ৬৯/২০২৫ এবং মেম্বার মিরা কাশ্মীরি ও আব্দুল মালেক ওরফে চৌধুরী জিআর মামলা নং ৯০১/২০২৪ থেকে জামিনে মুক্তি পায়। ৪ টি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা যাদের বিরুদ্ধে ১/ মোঃ লাইছুর রহমান পিতা মৃত মফির উদ্দিন, ২/ মোছাঃ লিপি আক্তার স্বামী লাইসুর রহমান, ৩/ মোছাঃ আশা আক্তার পিতা লাইসুর রহমান এদের পক্ষ নিয়ে।
অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০ শে মে ২০২৫ ইংরেজি তারিখে রাসেল ও আরজিনার বিরুদ্ধে এবং গত ২ জুন ২০২৫ ইংরেজি তারিখে বোচাগঞ্জ থানায় দুইটি অভিযোগ করার কারণে উঠেপড়ে লাগে সংবাদ কর্মী খাঁন মোঃ আঃ মজিদের সাথে।
এরপর থেকে তারা ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসীকে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে সংবাদকর্মী আঃ মজিদ খান কে প্রাণে মারার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তার কাছে ৬ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং মামলা তুলে না নিলে পরিবারের সবাইকে হত্যা করে গুম করার হুমকি দেয়।
সংবাদকর্মী মোঃ আঃ মজিদ খান এবং তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সেতাবগঞ্জ পৌরবাসী ও সেতাবগঞ্জ এলাকার সচেতন মহল জানতে চায় – ওরা কারা? তাদের পেছনে কারা আছে? তাদের এত শক্তি কোথা থেকে?
এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও দিনাজপুর ক্যাম্প-২৮ এর প্রতি আবেদন জানানো হচ্ছে, যেন সরেজমিন তদন্ত করে নিরপেক্ষভাবে দোষীদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনা হয়।