
খাঁন মোঃ আঃ মজিদ দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে নিরীক্ষাকাজে এসে অডিটরদের ঘুষ লেনেদেনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শিক্ষা বোর্ডে অভিযান শেষে রোববার বিকেলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানিয়েছেন দুদক দিনাজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন।
এর আগে রোববার বেলা ১১টায় দুদকের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা বোর্ডে যায়। বিকেল চারটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন ছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশার ও উপসহকারী পরিচালক আলম মিয়া।
গত বছরের ১৫ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধিদল ৫টি শিক্ষা বোর্ডে নিরীক্ষা কার্যক্রম করে। এর মধ্যে ১৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর নিরীক্ষা কার্যক্রম করে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে। এই বোর্ডে নিরীক্ষা চলাকালে নানা অনিয়ম ঢাকতে অডিট দলকে সাড়ে ২১ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্র ধরে খোঁজ নিতে গিয়ে ময়মনসিংহ ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডেও ১৮ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণসহ মোট ৩৯ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া যায় ওই অডিট দলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত ৯ জানুয়ারি প্রথম আলোর ৩ এর পৃষ্ঠায় ‘৩৯ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর দুদক থেকে আদেশ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে নিরীক্ষা দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বোর্ড কর্তৃপক্ষের ঘুষ লেনদেনের অভিযোগটির প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ক্রয়–সংক্রান্ত বিষয়, সম্মানী নিয়ে অনিয়মসহ আরও কিছু বিষয়ে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে কয়েকজন কর্মচারী প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত আছেন। সেসব বিষয়েও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নথিপত্র পর্যালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কমিশন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।