
মোঃ মেহেদী হাসান, নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের ভাটরা ইউনিয়নে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় এই প্রকল্পটির রূপরেখা তুলে ধরা হয়।
গ্রাম আদালত বিষয়ক মিউনিটি মতবিনিময় সভা ও ভিডিও প্রদর্শনী শীর্ষক ব্যানারে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ভিডিও প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মাহাবুর রহমান।
গ্রাম আদালত আইন,২০০৬ অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে কতিপয় ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিরোধের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত গঠিত হয়।গ্রাম আদালত অনধিক ৩,০০,০০০/-(তিন লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে।তবে গ্রাম আদালতে আইনজীবী নিয়োগের বিধান নেই।
চেয়ারম্যান মাহবুর রহমান তার মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে বলেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারি হতে এ পর্যন্ত মোট ১০টি মামলা গ্রাম আদালতে এসেছে।তার মধ্যে ৩টি মামলা এসেছে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে।এর মধ্যে ৫টি মীমাংসিত ও বাকিগুলো নিষ্পত্তির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনস্পেকটর ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম,স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউসিও ইয়াসিন আলী,ভাটরা ইউপির সচিব সোহেল রানা,কুমিড়া পন্ডিত পুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম,ভাটরা ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের সম্মানিত ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যাগন।