বৃহস্পতিবার, ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নবীনগরের জিনোদপুর-দশমোজা সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ

শাহীন রেজা টিটু, নবীনগর: ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর থেকে দশমৌজা বাজার পর্যন্ত সড়কটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় জিনোদপুর-দশমৌজ সড়কটিতে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই চলছে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি সংস্কারের অভাবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসী ভাঙা সড়কের ওপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। রাস্তা ভেঙে গর্তগুলো এতটাই বড় হয়ে গেছে যে, যানবাহন চলাচল করছে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। তাছাড়া ভাঙা সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের ওপর দিয়ে যানবাহন পারাপারের সময় শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন। এছাড়া বিপাকে পড়ছেন রিকশা, অটোবাইক, মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন বাহনের যাত্রীরা।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে জিনোদপুর থেকে দশমৌজার এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করায় কিছুদিন যেতে না যেতেই রাস্তাটি খানা খন্দের সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কয়েকটি ইউনিয়ন ও গ্রামের শত শত মানুষ দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে দিনরাত চলাচল করে।

সড়কটি ভেঙে বেশ কয়েকটি বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে, বৃষ্টি হলে তো আর কথাই নেই হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। রাস্তার একাংশ বসে যাওয়ায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই দ্রুত সংস্কার না করা হলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগীরা দ্রুত সড়কের সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, নিত্যদিন এই মরণফাঁদ সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রায়দিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে যারা জানেই না এখানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা, তারাই বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। তাই এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।

জিনোদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষক আবুল বাসার বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে এই রাস্তাটি ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এর ওপর দিয়ে রাতদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায় সময়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।’ তিনি দ্রুত সড়কের সংস্কারের দাবি জানান।

এই ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী মো: নুরুল ইসলাম নামে একজন জানান, কয়েক বছর ধরে দেখছি এই ভাঙা রাস্তা। রাতে এই অংশ আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই সড়কে নতুন চলাচলকারীরা বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে প্রাণহানিও ঘটতে পারে! যদি বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে কে দায় নেবে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবীনগর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. কাইয়ুম বলেন, এই রাস্তাটা চট্টগ্রাম প্রজেক্ট থেকে বড় রাস্তা হবে তাই এটা একটু সময় লাগবে। আগামী জুন মাসের শেষের দিকে কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ