
মো. বেল্লাল হোসাইন নাঈম, নোয়াখালী : নোয়াখালীতে কোটাবিরোধী আন্দোলন দমাতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতাকে গ্রেপ্তার করার অভিযোগ উঠেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সুধারাম উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মো.নোমান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো.রায়হান, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইস্কান্দার মির্জা শামীম ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা শাহদাত হোসেন হৃদয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এর আগে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যুবদল-ছাত্রদলের নেতারা মাইজদী শহরের হাউজিং এলাকার একটি রেঁস্তোরায় বসে খাবার খাচ্ছিলেন। সেখান থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে নিয়ে যায়। বিএনপি শিক্ষার্থীদের চলমান যৌক্তিক কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। ওই কারণে নোয়াখালীতে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে দমাতে সরকার পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে পুলিশ গ্রেপ্তার চালিয়ে নেতাকর্মিদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নোমানসহ যুবদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। নোয়াখালীর কোথাও বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান।
এসপি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনের সাথে এই গ্রেফতারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। বুধবার দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।