মঙ্গলবার, ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রবীণ সাংবাদিকের বাড়িতে চুরি: লাখ টাকার মালামাল লুট

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় প্রবীণ সাংবাদিক মো. আ. মজিদ খানের বাড়িতে চুরির একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।

গত ১৪ নভেম্বর ভোর ৫:৩০ মিনিটের দিকে এ চুরি সংঘটিত হয়। চোরেরা নগদ ৫৬,৫০০ টাকা এবং দুটি মূল্যবান মোবাইল সেট (Oppo Reno 8 T 5G এবং Samsung Galaxy A13), যার মোট মূল্য ৬৬,০০০ টাকা চুরি হওয়া সম্পদের মোট মূল্য ১,২২,৫০০ টাকা।

একই ঘটনা ঘটে বিগত ১৫/৬/২০২৩ ইং তারিখে বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪ টার সময় এবং ০৩/১১/২০২৩ ইং তারিখে ভোর ছয়টায় একই জন চুরির ঘটনা ঘটায় সাড়ে ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, সাড়ে ১৫ ভরি রুপা অলংকার ৩০ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল সেট ৫৬ হাজার টাকা একটি এলইডি টিভি ৭৫০০ টাকা, একটি সেলাই মেশিন ৬৫০০ টাকা, একটি বেলেন্ডার ২৪০০ টাকা , একটি পেসার কুকার ১২০০ টাকা, একটি আইরন ইস্ত্রি ১২০০ টাকা ও মূল্য বাণী মালামাল সহ চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি হওয়া সম্পদের মোট মূল্য ৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮০০ টাকা।

চুরির ঘটনায় বোচাগঞ্জ থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে ঘটনার এক মাস পার হলেও চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার বা অভিযুক্তদের গ্রেফতার সম্ভব হয়নি, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসান সরকার এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ জানিয়েছেন যে, চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ওসি বলেছেন, “অভিযুক্তরা আইনের হাত থেকে পালাতে পারবে না। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২:৩০ মিনিটে সাংবাদিক মো. আ. মজিদ খান থানায় গিয়ে ওসি জাহিদ হাসান সরকারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের বিষয়ে কথা বলেন।

এ সময় ওসি জানান, তার হিরো হোন্ডা মোটরসাইকেলের লাইসেন্স এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মজিদ খান বলেন, যদি আশা আক্তার ও তার পরিবার চুরি করা মালামাল ফেরত দেয় এবং আমার দুটি বাড়ি বিক্রি করা ২৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে পারে। তবে আশা আক্তারকে পুনরায় গ্রহণ করা হবে। তবে তাদের পালিয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব হলো তাদের খুঁজে বের করা।

প্রধান অভিযুক্ত আশা আক্তার ও তার পরিবারের স্থায়ী ঠিকানা দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ১নং নাফানগর ইউনিয়নের বড় সুলতানপুর গুচ্ছগ্রাম আবাসন প্রকল্প। চুরির ঘটনার পর থেকেই তারা আত্মগোপনে রয়েছে মেঘনা গ্রুপ কারখানায় মোছাঃ আশা আক্তার (২৬), মো. লাইসুর রহমান (৫৫), মো. দেলোয়ার (৩৫), মোছা. রাশিদা আক্তার (২৮), মো. নয়ন মিয়া (২২), মোছা. লিপি আক্তার (৪৯), ঠিকানা সখিপুর সড়ক, গড়াই, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।

চুরির ঘটনার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সুরাহা না হওয়ায় সচেতন মহল এবং এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা প্রশ্ন তুলছেন, “কেন অভিযুক্তরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে? চুরি হওয়া সম্পদ উদ্ধার করতে প্রশাসন কি যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে?”

এখন পুরো বোচাগঞ্জ উপজেলার মানুষ তাকিয়ে রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের দিকে। দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে স্থানীয়রা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ